আন্তর্জাতিক || পাক্ষিক পত্রপুট || এ অদিতি ঘোষদস্তিদার

ছোট্ট জিজ্ঞাসা

“থেমে যা না! খুব ভয় করছে যে!”
বিল্টু! কান্নাভেজা গলা কাঁপছে থরথরিয়ে। অপর্ণার মন ছুটল পাশের ঘরে। পা দুটো কিন্তু আটকানো।

জানলায় দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে একদৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকিয়েছিল অপর্ণা। ঘনকালো আকাশে বিদ্যুতের রুপোলি চাবুক ফালাফালা করছে দিগন্ত। মাঝে মাঝে গুম গুম করে বাজের আওয়াজ।
ছোটবেলায় ভীষণ ভয় পেত অপর্ণা আকাশ এমন কালো দেখলে। আর বাজ পড়লেই কানে আঙুল দিয়ে মুখ লুকোত মায়ের কোলে।
এবাড়িতে অপর্ণা এসেছে মাস তিনেক। বছর দুই আগে বিল্টুর মা চলে গেছেন না-ফেরার দেশে। নতুন মাকে একেবারেই মেনে নেয়নি পাঁচ বছরের বিল্টু। কাছেও ঘেঁসে না। অপর্ণা চান করিয়ে বা খাইয়ে দিতে চাইলে শক্ত হয়ে সিঁটকে থাকে। মুখে একটিও কথা বলে না ঐটুকু ছেলে, কিন্তু খুব জোরালো প্রতিবাদ। অপর্ণা প্রথম প্রথম অনেক চেষ্টা করেছে, কিন্তু এখন একটু দূরে দূরেই থাকে!
ভীষণ শব্দ করে বাজ পড়ল একটা কাছেই। কারেন্টও চলে গেল সঙ্গে সঙ্গে।
অপর্ণা ছুটল পাশের ঘরে।
বিল্টুর ছোট্ট গোটা শরীরটা অপর্ণার বুকে জাপটানো এখন।
“আমার পাশে রাতে ঘুমোবে মা?”

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।