কাব্যানুশীলনে অরবিন্দ ঘোষ

গ্রামের বাড়ির দূর্গা পূজা
নীল আকাশে ভাসে যে আজ সাদা মেঘের ভেলা
এসেছে শরৎ মাঠেতে তাই কাশফুলের মেলা।
রথের দিনে মাটি উঠেছে মা দূর্গার মেড়ে
মিস্ত্রি মশাই ঠাকুর গড়েন অন্য সব কাজ ছেড়ে।
চতুর্থী তে সাজ পরে মা দেখায় মিষ্টিমুখ
চালচিত্রের আঁকা দেখে মনে যোগায় সুখ।
ষষ্ঠীতে বোধনের বাজনা বেজে ঢাকিরা আসে ঘরে
এই দিনে মায়ের পূজা হয় কিন্তু বেলতলারই পরে।
সপ্তমীর ঘট ডোবানোর পরে হয় যে মহাস্নান
চাই সাতসমুদ্রের জল, পদ্ম রেনু,ও অনেকে বিধান।
বাড়ির বউয়েরা নবপত্রিকা কে বরন করে তোলে
তারপরেতে পূজা যেন গড়গড়িয়ে চলে ।
অষ্টমীতে মায়ের পূজা সকাল সকাল হয়
কুমারীপূজার শেষে অঞ্জলিতে দেরী হবার ভয়।
সন্ধি পূজারম্ভ ঘড়ির মিনিট, সেকেন্ড ধরে হয়
ধূপ ধূনার ধোঁয়ায় পূজা সদর হয় অন্ধকার ময়।
মহেন্দ্রক্ষণের খানিক আগে ব্রাহ্মণ উঠিয়া দাঁড়ান
সন্ধিক্ষণে “জয় মা” বলে মাকে করেন মাল্য দান।
পরের দিনে নমমী পূজায় নেই তেমন তাড়া
শুধু হোমের আগে চন্ডীপাঠ করতে হবে সারা।
দশমীর পূজাশেষে মার সুতাকাটা দেখে দিন ক্ষণ
ঢাকেতে বোল ওঠে “ঠাকুর যাবি বিসর্জন”।
সাঁঝের পরে বরন শেষে হয় দারুণ সিঁদুর খেলা
শাঁখ বাজে বাজনা বাজে যেন বসেছে এক মেলা।
বিজয়া কালে বাজনার তালে সবে উচ্চ স্বরে কয়
আসছে বছর আবার হবে,জয় মা দূর্গার জয়।