কবিতায় পদ্মা-যমুনা তে আবু আফজাল সালেহ

রূপসীর অহংকার
হেমন্তের জ্যোৎস্নায় আনন্দগুলো সব জড়ো হয়ে গেল।
সোনালি প্রান্তর গোধূলির মতো স্থবির
টমেটো পাকার আগের রঙে বিস্তৃত
মাথাভাঙ্গার জল যে চাঁদগলা সিঁড়ি।
হুতুম পেঁচার ডাকের প্রতিধ্বনিতে ভয় ওড়ে–
‘কিসের ভয়?’ বলেই লাফিয়ে পড়ি বিস্তীর্ণ সোনা ধানখেতে
মায়াবিনী জ্যোৎস্নার ফাঁদে।
হো-হো করে হেসে ওঠে আকাশ
হু-হু করে ভেসে যায় বাতাস
রাতজাগা পাখিরা ওড়ে বাতাস বরাবর–
সঙ্গী তো ওরাই কেবল
জীবনানন্দের কবিতারা এসে সামনে দাঁড়ায়।
রূপসীর এই অহংকারে সত্যিই আমি খুন হয়েই যায়
চাঁদকে বলেছি, এই খুনের সাক্ষী থেকো।