গুচ্ছকবিতায় অঞ্জলি দে নন্দী, মম

নির্জন নিবিড় নিশীথে নীড়ে
আমি একা, এখন নির্জন নিশীথে নীড়ে।
গিয়েছিলাম দুজনে একসাথে।
সেই সে সবিতা ওঠা প্রভাতে।
গোধূলি লগনে
মোরা দুজনে উড়েছিলুম গগনে।
ভেবেছিলাম আপন নীড়ে,
ফের আসবো ফিরে,
প্রতি বিকালেরই মত।
ধরার এক শিকারী যমের মত
তীর মেরে মেরে ফেললো,
আমার প্রিয়তমাকে।
ও মাটিতে গিয়ে পড়লো,
আর আঁখি না মেললো।
আমি আর কোনো নিশীথেই পাবো না তোমাকে।
হাহাকার করে মম নিঃসঙ্গতা।
মৃত্যু, নিয়তির চির রঙ্গ তা।
আমার জীবন শুধু না পাওয়ার নিঃস্বতায় ভরলো।
মিলনোৎসব
আজি মিলেছে সবে
বিজয়ার এ মিলনোৎসবে।
বিসর্জনের বাদ্যি বাজে।
হৃদয়ে বেদনার বেহালা বাজে।
মায়ের হল বিদায়।
মন করে হায় হায় হায়!!!…..
মা স্বামীর বাড়ী চলে যায়।
যেতে যেতে যেতে
বারে বারে বারে
পিছু ফিরে ফিরে ফিরে চায়।
নদী জল উঠেছে পুলকে মেতে।
মায়ের শ্রী শরীর ধন্য করবে যে তারে।
সিঁদুরের রঙে শ্রীমতি
পরম ভক্তিমতি।
জয় জয় মা শ্রী সতী!
জয় জয় সতীপতি!
তুমি যে আদরের অতি!
তুমি বিনা মোদের নাইকো গতি।
তুমিই নয়নের চির জ্যোতি।
তোমাতেই থাকে যেন অনন্ত মতি।