গুচ্ছকবিতায় অঞ্জলি দে নন্দী, মম

শাওন মেঘ পিওন

ওগো ও শাওন মেঘ পিওন!
সেথা আছে মোর কাঠি-জিওন।
সে আমার প্রেয়সী।
আমার প্রেমের শ্রেয়সী।
তুমি কী পৌঁছে দিতে পার
আমার মনের ব্যাকুলতা-পত্র?
তুমি তো যাও যত্রতত্র।
পৌঁছে দাও না গো!
এই দায়িত্বটুকু নাও না গো!
আচ্ছা বল,
তুমি কী নও প্রেমের পথিকবর?
ভালোবাসা কী তব পর?
তবে কীসের টানে তুমি চল?
কার পানে?
তুমি উড়ে চল কার আহ্বানে?
সে কী তোমার প্রেম নয়?
সে কী জুরে নেই তব হৃদয়?

 

ডাকে

আঁধারের ডাকে
চাঁদ আসে।
পবনের ডাকে
পুষ্প আসে
শাখে শাখে।
শূণ্যতা ডাকে
যে কাকে?
মৃত্যু ডাকে
শ্বাসবাহী নাকে।
প্রেম পূর্ণ নির্বাকে।
যমুনার ডাকে
শ্রী রাই চলে কলস কাঁখে।
বন্ধনের ডাকে
ওরা জোরে সাত পাকে।
সবিতার ডাকে
কমল জন্ম নেয় পাঁকে।
কবিতার ডাকে
অক্ষর সাজতে থাকে।
হৃদয়ের স্পন্দনের ডাকে
অনুভূত হয় মাকে।
সময় শুধুই ডাকে
এগিয়ে যেতে আমাকে।

 

আহ্বান

আলোর পথিক, এসো হে!
অশেষ আকাশ হয়ে হেসো হে!
আমার অপেক্ষিত দু-আঁখি।
হবেই হবে লাকি,
তোমার প্লাবনে ভেসে।
আমার দৃষ্টি অবশেষে
যেন তোমার পথের শেষে
অক্লেশে মেশে,
ভালোবেসে।
আঁধারে মোরা নব চির বিশ্ৰাম।
আলিঙ্গনে চির তরে রবে মোদের চারার্ম।
মোরা লভিব অনন্ত চার্ম।

 

আমি তো তা-ই

আমি মৌমাছির দান, স্বাদে মধুর।
পাখির কণ্ঠে আমি সুর।
লাজুক ঘোমটা আমি নব বধূর।
আমি ঐ আকাশ, সুদূর।
শ্রী চরণ আমি প্রভুর।
আমি সুখ স্মৃতি কভুর।
আমি পুজোর প্রসাদ, লাড্ডু-মতিচুর।
সোহাগিনীর হাতে আমি স্বর্ণ-চুর।
আঙুলের শোভা রতনচুর।
আমি আবেগ, ভরপুর।
আমি বনেদীর অন্তপুর।
আমি যুধিষ্ঠিরের অন্তিম সঙ্গী কুকুর।
সূর্যের রথের সপ্ত অশ্বের ক্ষুর।

মঙ্গলবার

মঙ্গলবার আজ।
মায়ের অঙ্গে রক্তিম সাজ।
শিরে জয়-তাজ;
মন্দিরে করছেন রাজ।
অসুর নাশই তাঁর কাজ
তিনি বলেন, ও হৃদয়, বাজ!
উনিই শান্তির সমাজ;
উনি নারীত্বের সম্ভ্রমলাজ।
উনিই আবার প্রতিবাদী আওয়াজ।
ওনার পরিচালিত যুদ্ধের ময়দানে কুচকাওয়াজ।
সতী পত্নীকে পতি শিব করেন সদাই প্রেমের তোয়াজ
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *