আজ পয়লা বৈশাখ। বছরের এই দিনটিতে পরী মায়ের সাথে কলকাতা যায়। মা যে দিদার বাড়ি রান্না করে, সেখানে।
প্রতিবছর দিদা এই দিনে নতুন জামা,মিষ্টি,খেলনা এসব দেন। মা কেও শাড়ী দেন।
সারা বছর পরী এই দিনটার অপেক্ষা করে।
এবার বিদেশ থেকে মামা এসেছেন ,তিনি পরীকে পাঁচশো টাকা দিয়েছেন। পরী তো আনন্দে আটখানা !
এখন বাড়ি ফেরার পালা ,বারোটা বাজে প্রায় – ট্রেন আজ মোটামুটি ফাঁকা। একজন হকার উঠলো, “এই যে লেবু লজেন্স নেবেন দাদা ! টাকায় দুটো – দু’টাকায় পাঁচটা।”
পরী দেখলো লজেন্স কাকুর উস্কোখুস্কো চেহারা, কপাল বেয়ে দরদর করে ঘাম বেয়ে পড়ছে ,কেউ তেমন লজেন্স কিনছেও না। এই কাকুর কি নববর্ষ নেই? দশ বছরের পরী হঠাৎ এক দুঃসাহসিক কাজ করে বসলো। মায়ের অনুমতি ছাড়াই লজেন্স কাকুকে পাঁচশো টাকা দিয়ে বললো ,” কাকু , সবগুলোই আমাকে দাও আর তুমি বাড়ি যাও। আজ তো পয়লা বৈশাখ ,সবার ছুটি। তোমার ছুটি নেই?”
আজ পরী উপলব্ধি করেছে ,শুধু পাওয়া নয় , দেওয়ার মধ্যে ও অনেক আনন্দ লুকিয়ে আছে।