• Uncategorized
  • 0

|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় অমিতাভ দাস

হানিমুন

কট করে একটা শব্দ । হ্যাঁ ভেঙে গেল । তারপর একটা ধারালো বিদ্যুৎ চমক। কাজটা সফল ভাবে শেষ করে মৌলী স্নানের ঘরে ঢুকল ।
শেষ রাত । দূর থেকে ঢেউ এর গর্জন শোনা যাচ্ছে। এলোমেলো নভেম্বরের হাওয়া। একটু শীতল ।এসট্রেতে আধ পোড়া সিগারেট । ধোঁয়া উঠছে। টেবিলে দু’টো গ্লাসেই মদ । ঠান্ডা জলের বোতল । পাশের বিছানার চাদর রমণ-ক্লান্ত , ধ্বস্ত । এ চাদর অনেক রকম শীৎকার শুনেছে কিছু আগে।কান্নাও শুনেছে ।গালাগাল শুনেছে। বেল্ট খোলা মার দেখেছে।
বাথরুমে জল পড়ছে। মৌলীর শরীরটা এখন অসম্ভব হালকা লাগছে। মনটাও । সামান্যতম দুঃখ বোধ নেই। সে জোরে জোরে সারা গায়ে সাবান ঘষে। নগ্ন ত্বকে সাবানকুচির আনন্দ উদযাপন। গান করতে চায়। পারে না। ভেতর থেকে গান ওর আসে না অনেক দিন। বিয়ের আগে আসত ।
আরেকটু পরেই সকাল হবে । ট্রেন ধরবে। হলিডে হোমটা এখন বেশ ফাঁকাই। বাইরে ভারী জুতোর শব্দ । সিগারেটের গন্ধ ভাসতে থাকে । নাকে এসে লাগে স্নানরতা মৌলীর ।
গা মুছতে মুছতে মৌলী দেখতে পায় রক্তের একটা সরু ধারা বেডরুম থেকে স্নানের ঘরে ঢুকে বাথরুমের জলটাকে কখন যেন লাল করে দিয়েছে।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।