হাঁটতে হাঁটতে মরে যাচ্ছে কেউ
কেউ কেউ বরফের নীচে মর্গের সাদা চাদরে ঢাকা
কেউ কেউ ট্রাকের ধাক্কায় , ট্রেনের তলায়
হাঁটতে হাঁটতে সন্তানের জন্ম দিচ্ছে ভারতবর্ষের মা
হাঁটতে হাঁটতে যে ঘুমিয়ে পড়ছে ট্রলির ওপর
সে ভারতবর্ষের সন্তান
তুমি শুকনো পাতা চিবিয়ে খাচ্ছো
হাঁটতে হাঁটতে ভারতবর্ষ মহামানবের সাগরতীরের দিকেই যাচ্ছে
তুমি বুদ্ধ
তুমি নানক
তুমি রবীন্দ্রনাথ
রাষ্ট্রচিন্তায় ভীষ্ম বলেছিলেন : যে রাজা তাঁর রাজধর্ম পালন করে না তাঁকে কুকুরের মতো টেনে নামাও সিংহাসন থেকে…
কে কাকে টেনে নামাবে এখন ?
এখন ছিন্ন ভারতবর্ষ , পীড়িত ভারতবর্ষ , অসুস্থ ভারতবর্ষ
তোমার সামনে দাঁড়িয়ে
ক্ষুধা বড় ভয়ংকর ব্যাধি , পুরাতন রোগ
ভারতবর্ষ এখন কোয়ারেন্টাইনে চলে গেছে
তুমি-আমি বিপন্ন পরিযায়ী শ্রমিক মাত্র
ভারতবর্ষ এখন হাঁটতে শিখেছে
ভারতবর্ষ এখন কেবল হাঁটবে
হাঁটতে হাঁটতে মরে যাবে—
তবু তোমার লজ্জা হবে না রাজা
শকুন উড়ছে কেবল ভারতবর্ষের আকাশে
শ্মশানে শ্মশানে শেয়ালের উল্লাস , শিবাভোগ
ভারতবর্ষের মন্দিরে মন্দিরে মাস্কে মুখ ঢেকেছে দেব-দেবীর দল
ভারতবর্ষ এখন লোভীর
ভারতবর্ষ এখন নির্লজ্জের
ভারতবর্ষ এখন কেবল হাঁটবে
সেই হাঁটার পদশব্দে একদিন ভেঙে যাবে এই মুখোশপরা সভ্যতার কালঘুম