কবিতায় অন্নপূর্ণা দাস

চেয়ার
যখন আমি চেয়ারে বসতে ইতস্তত বোধ করি
সে আমার সামনে এসে হাত ধরে বসিয়ে দেয়
যাদের আমি দূরে থেকে দেখেছি
আজকে তারা আমার সামনে এসে আমাকে খূঁজে নেয়
যাদের সাথে কথা বলতে ভয় পেয়েছি
আজকে তারা নিজেদের থেকে কাছে এসে কথ বলেছেন
তাদের ভরসা, আশীর্বাদের হাত মাথার ওপর আছে বলে
আজকে আমি পথ চলতে পারছি
তবুও কথায় যেন হারিয়ে যাই
এই হারিয়ে গিয়ে যখন তাদের মুখোমুখি হই
তখন দেখি একগাল হাসি আর গভীর হৃদয়ের ভালোবাসা
কখনো জরিয়ে ধরে আদর
আবার কখনো বর্তমানের বার্তা
হ্যাঁ তারা আমাদের প্রিয় প্রফেসর
আমাদের প্রিয় ম্যামেরা….
একবার দেখলে ঠিক মনে রাখে
এই অল্প সময়ের মধ্যে তারা আমাদের অনুধাবন করেছেন
আমরা ভেবেছিলাম তিন বছরে কে অত মনে রাখে
কলেজ পেরলে সব কিছু ব্লাঙ্ক ….
না, ধারণাটি ভুল
প্রতিটি কথা প্রতিটি সময়
তারা মনে রেখেছেন
আমি দূর থেকে তাদের দেখলেও
তারা ঠিক আমাকে দেখেছেন
আমি যদি একলা বসে বাইরের জানালা দেখছি
ইংরেজি পড়াতে পড়াতে সে আড় চোখে দেখেছেন
লাইব্রেরিতে বই দেখে হা করে তাকিয়েছি
কি বই নেব ঠিক করতে পারছিনা
তখন তারা মুচকি হেসে বই ঠিক করে দিয়েছেন
কলেজের কমন রুমে বান্ধবীরা ক্লাস কামাই করে
আড্ডা দিলে তাও তারা দেখেছেন
আজকে সব কথা যেন হুবহু বলছেন
এত কিছু তারা নোটিশ করতেন কি করে
তারা যে ভিষণ ব্যস্ত মানুষ
আমরা জানিনা তারা সবকিছুই জানেন
তারা যে আমাদের অভিভাবক
তারা আমাদের চোখের ভাষা চোখ দিয়ে পড়ে নিতেন
তাইতো কিছু না বলার আগেই উত্তর দিয়ে দিতেন
কখনো সমাধান বানী
কখনো সহজ চলার পথ
তাইতো আমরা প্রতিটি সময় শিখে চলি
তাদের হাত ধরে…..