• Uncategorized
  • 0

লেন্সের কালি – গ্রাফি – ৬

সুন্দরী আর সৌন্দর্যের প্রাচুর্যে সুন্দরবনের অপরূপ শোভা…

সত্যি সবুজের সান্নিধ্য যে কতটা আরামদায়ক তা ভাষায় প্রকাশের অযোগ্য। এই ভরা গ্রীষ্মের দাবদাহের মধ্যেও সুন্দরবন যেন কতটা মনোরম তা অবিস্মরণীয়। চারিদিকে শুধু ঘন সবুজ গাছপালা। ট্রেনের পথে শুধুই ধান-জমি, চাষের ক্ষেত, বড় বড় ঝিল ইত্যাদি। আর গাড়ি বা বাসের পথে পরে শুধুই ফুলে ফুলে ভরা সবুজ বাগান। এছাড়াও সুন্দরবন মানেই তো চারপাশ জুড়ে সমুদ্রের বুক চিরে ওপরে উঠে আসা শ্বাসমূল যুক্ত সুন্দরী গাছ। নামের সাথে সামঞ্জস্য রেখে গাছগুলোর গড়নও কিন্তু সত্যিই অপূর্ব।
তবে শুধু শুধু স্থলভাগের শোভা নয়, সুন্দরবনের মূল আকর্ষণ হলো জলরাশির শোভা, দুর্ভেদ্য জঙ্গল, ও ভয়ঙ্কর সুন্দর দ্যা রয়াল বেঙ্গল টাইগার। যদিও বা এই বাঘ দেখার সৌভাগ্য সবার হয় না, তবুও সেই টানেই ছুটে যায় সকলে। সমুদ্র ও নদীর সঙ্গমে পর্যটক নিয়ে ভেসে বেড়ায় একের পর এক নৌকা বা লঞ্চ। কখনো কখনো স্থানীয় বাসিন্দাদের দেখা যায় মাছ ধরতে জলের মাঝে। তাদের মোটামুটি সকলেরই নিজেদের ছোট ছোট নৌকা আছে। বেশ মনরোম দৃশ্য এক কথায়। একদিনের জন্য তো মোটেই মন্দ নয় চাইলে কাটানো যায় দুই তিন দিনও।
প্রচন্ড গরমেও যখন সমুদ্রের ওপর দিয়ে নৌকা ভেসে চলে তখন গরমের থেকেও বেশি অনুভূত হয় রোমাঞ্চ ও অফুরান হওয়ার।
তাই বেশি কিছু না ভেবে একদিনের জন্য মন চুটিয়ে ঘুরে আসতে পারেন সুন্দরবনের ঝড়খালী কিংবা গদখালী। সত্যি মন ছুঁয়ে যাবে। ভরে উঠবে অপার বিস্ময়। একবার নয় বারংবার যাওয়ার জন্য মন অবশ্যই দোলা দেবে।

কলমে – অনিন্দিতা ভট্টাচার্য্য

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।