কবিতায় সংঘমিত্রা ভট্টাচার্য

সাড়ে তিন হাত জমির গল্প
সুর ছিল ছন্দ ছিল
সোনালী বিকেলের কিছু রঙিন স্বপ্ন ছিল
তবুও বুকের বাঁদিকের দ্বার বন্ধই রইলো
জং পরে গেছে সব কল কব্জায়
তবুও পড়ন্ত বিকেলের সাড়ে তিন হাত জমি
খুঁজতে গিয়ে
সাত সমুদ্র তেরো নদী পার করতে হলো
সম্বল বলতে কিছুটা নোনা জল
যেখানে পৃথিবীটাই শূন্যে পাক খাচ্ছে
সেখানে আবার শূন্যতা
যেখানে দিন রাত্রি বিকেল দুপুর
সমস্তটাই একটা চরম আপেক্ষিক
সেখানে প্রেম কিংবা বিরহ
এক প্রবল বিস্ময়
এক হাতে পূর্ণ কলস আর এক হাতে
শূন্য গণ্ডুষ
এক পাড়ে তৃপ্তি আর এক পাড়ে অতৃপ্তির দীর্ঘ অভিমান
তবুও মাটিতে বাস অগণিত সংখ্যা মানবের
যেখানে যৌবন যৌবন কে ডাকে
মোহতে আবিষ্ট মন ফুলের রেণুর নেশা আকণ্ঠ পান করে
সেখানে ভালোবাসা অবহেলা পেলে
কোনো মিছিলে সামিল হয়ে প্রতিবাদ জানায় না
শুধু হৃদয়ের উৎস থেকে অভিমুখ বদলায়
এইভাবে ভাঙা গড়ার খেলায় লুকোচুরি খেলতে খেলতে ۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔
সূর্য দিগন্তে মেলায়
নাটকের দৃশ্য শেষ হয়
কুশীলবরা পোশাক বদলায়
মুখের লাল নীল রং মুছে যায়
গাঢ় আঁধারে তাদের চেহারা এখন একই
রকম
রাজা রানী ভাবুক প্রেমিক সব সব
একই
শুধু রহস্যে ঘেরা সময় তাদের এক একটা
ভূমিকায় সাজিয়েছে
শুধু দর্শক রা যেতে যেতে বলে গেলো
বাতাসের কানে এই ছিল তবে সাড়ে তিন হাত জমির গল্প।