হৈচৈ কবিতায় অঞ্জলী মুখার্জি

গাঁয়ের ভূত

বন্ধু তুমি দেখেছো কি কক্ষনো সেই গাঁয়ের ভূত।
মাথায় টুপি গায়ে চাদর, সঙ্গে কে না তারই পূত।
বের হবে না একলা রাতে সন্ধ্যে বেলায় মাঠে ঘাটে;।
মরেছিলো কম্পজ্বরে ঘায়েল হয়ে ঠ্যাঙের বাতে।
একদিন এক পৌষ মাসের। পিঠে পার্ব্বণে তে।
দামুর কাকী দালান গোড়ায় বসলো পিঠে খেতে।
সন্ধ্যে হবে,এমন সময় রাস্তা তো শুনশান।
হঠাৎ সেথায় দাঁড়িয়ে কে না হেম দারোগার বোন।
কাকীর তাতে গ্রাহ্য তো নেই আপন মনে খায়।
হঠাৎ বললে আমার তরে পিঠে নিয়ে আয়।
নামটি তার কি ছিলো বেশ নয়নতারা বটে!
সারাটি দিন ফিরত ঘুরে শুধু ই মাঠে ঘাটে।
পিঠে যে তার বড় প্রিয় সে মরেছিলো শীতে।
পার্ব্বণের ই ছিল সে রাত ধরেছিলো ভূতে।
আসলো রোজা বদ্যি ওঝা সবাই ফিরে যায়,।
বললে হঠাৎ নয়নতারা পিঠে নিয়ে আয়।
পিঠের বাটি পেল নয়ন আসকে পুলিশ করে।
হবে তাও গন্ডা কুড়িসে খেলো পেটটি ভরে।
ঘন্টা তিনেক কাটলো ভালো ধরলো হঠাৎ কম্প।
নয়নতারা খাঁচা ছাড়া করছে লম্ফ ঝম্প।
সারা বাগান চষে বেড়ায় তাকে ধরে রাখা দায়,।
অবশেষে হোল ঘায়েনে দুটি ঠ্যাঙের ব্যথায়।
শেষ রাতেতে গেল দেখা নয়নতারা শুয়ে।
তাকিয়ে আছে নয়নতারা ঊর্ধপানে চেয়ে।
নড়াচড়া বন্ধ হোলমখাওয়া তো দুরস্ত।
বললে হবে!সে নয়ন তার সবাই ব্যতিব্যস্ত।
ঠকঠকিয়ে কাঁপে নয়ন হেম দারোগা। আসে।
গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে গেলেন। অবশেষে।
শেষ রক্ষা হোল না আর, নয়ন নিলো বিদায়।
ছেলে বুড়ো নাতি স্যাঙাত। সবাই করে হায় হায়!

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *