কবিতায় রত্না দাস

কাব্য রচনা
ধূঁপছায়া শাড়ি আবছায়া হাওয়াতে দোলা দিয়ে গেল আঁচলে
একুশের উদ্দামতা রক্তিম হয়ে উঠলো
ফুটে, গালে ও কপালে
টিনের কিশোরীর যুবতী অভিষেক রোমান্টিক সিজনিং ঝলকে
রঙিন আইশ্যাডোয় ঢাকা চোখ কাঁপে
ক্ষণে ক্ষণে সুখ পলকে
গাঢ় আঙুলে সরিয়ে অবাধ্য চুল, তুলে
ধরে মুখ তালুতে
দুজোড়া ঠোঁটের মৃদু কম্পন তীব্র
শ্বাসের মূহুর্তে
কথা কিছু ছিলো কি বাকি! নাকি বলা হলো সারা শরীর জুড়ে
দুজনের মন মিলে গেছে আজ। সুখের
পরত সেতারের সুরে
রাগ রাগিণীর ক্লাস নেওয়া শেষ তবু
মিলনোন্মুখ অধীর হৃদয়
দুহাত আজ দুহাতেই থাক দিবসরজনী
বিগত মনে হয়
যেতে নাহি দিব — অবাধ্য মনের জোরালো
দাবী হয় সোচ্চার
মুখের কথা বুকের ভেতর অনুরণনে
উচ্চার বারবার
মিলেনিয়াম পার্কের মায়াবী আলো সব,
মুঠো ভরে নিয়ে আঁচলে
যেতে যেতে চায় না যেতে মন,
ফিরে ফিরে চেয়ে তাকালে
সদ্য যুবতী প্রমোশনাল শ্রীমতী হংসনন্দিনী ছন্দে গেল উড়ে
পঁচিশের যুবার মুগ্ধ নজর, লুদ্ধ হয়ে থাকে, তাকে ঘিরে…