গল্পের জোনাকিতে সুতপা পূততুণ্ড

একা অতনু

অতনু সেক্রেটারির সাথে প্রেম করতে গিয়ে ধরা পরে যায় স্ত্রী এর কাছে।
রাত্রে বাড়ি ফিরে বউএর কাছে ক্ষমা চায়,বউ ক্ষমাও করে দেয়,এই শর্তে,যে মলি কে অফিসে রাখা যাবে না!

অতনুর তখন ৩৮ বন্দিতার ৩০।

বেশ কিছুদিন যেতে বন্দিতা স্বাভাবিক হয়ে যায়,স্বামী অতনু কে শয্যাসঙ্গী করে,অতনু সাঁতারে পারদর্শী, বন্দিতা খুশি হয়।

অতনুর ৪০ বন্দিতা ৩২.।

বন্দিতার পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়,অতনু খুব খুশি।

সোস্যাল মিডিয়ায় মলির সাথে অতনুর আবার যোগাযোগ হয়,বন্দিতা ছেলে নিয়ে ব্যস্ত থাকে,ছেলের তিন বছর বয়েসে স্কুলে ভর্তি করে,রান্না বান্না করে স্কুলে যায়,স্বামীর সাথে কথা বলার সময় শুধুমাত্র রাত্রে,কিন্তু অতনু ফোন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরে!

বন্দিতা, মলি আর অতনুর সম্পর্ক টা জেনেই যায়!
বন্দিতা কিছু আর বলে না,ছেলে কে নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পরে।

অতনুর ৪৫ বন্দিতার ৩৭।

অতনু অফিসে বসে বন্দিতার ডিভোর্সের মামলার চিঠি পায়,
অতনুর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে!

বন্দিতা নিশ্চুপ। কোনো উত্তর দেয় না, অফিসের ভাত বেড়ে দিয়ে ছেলে কে নিয়ে চলে যায়।

অতনুর প্রশ্নবাণ চলতে থাকে,বন্দিতা এলুমনি দাবী না করেই মিউচুয়াল ডিভোর্স দিতে চায়। অতনু ওর স্পর্ধা দেখে অবাক হয়ে যায়!

অত:পর অতনু ডিভোর্স দিয়ে মজা দেখতে চায়,বন্দিতা এখন কি করবে? কারন ছেলের কাস্টডি বন্দিতা পায়।

বন্দিতা ছেলের স্কুলে এক অসহায় ভদ্রলোকের সাথে আলাপে জানতে পারে তার একমাত্র মেয়ে কে রেখে স্ত্রী গত হয়েছেন।প্রথমে সহানুভূতি থেকে পরে গাঁটছড়া বাঁধা সবই চুপচাপ হয়।

অতনুর ৪৭…..

মলি অন্য বস কে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে নিজের আঁখের গোছায়।

একা অতনু।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *