কবিতার স্বর্ণযুগে সন্দীপ রায় (গুচ্ছ)

শবরীর প্রতীক্ষায় …
হয়তো আজ দেখা হবে
না হলে কাল …
অথবা পরশু,
দেখা একদিন হবেই …
কোনো অচেনা গলিঘুঁজিতে
না হলে প্রকাশ্য রাস্তায় —
দেখা একদিন হবেই …
কী বলে মুখ লুকোবে !
কোন্ অছিলায় ঢাকবে চেনা মুখ!
যদি চিনেও না চেনার ভান করো,
যদি আবির মাখা মুখে
লজ্জায় জিজ্ঞাসা চিহ্ন এঁকে যায়!
তারপর…
অন্ধ স্নেহে মানুষ নির্বোধ
অন্ধ আবেগ বর্ষার মেঘ
এই বৃষ্টি, এই রোদ …
আকাশে রামধনুর অপেক্ষায়
আজন্ম কেটে যাক বেলাশেষের রোদ্দুর।
আষাঢ়-শ্রাবণ
একটু একটু করে ক্যানভাসে
মিশে যাচ্ছে ক্ষয়িষ্ণু জীবন
একমুঠো জীবন হাতে তুলে নিয়ে
উড়িয়ে দিলাম আকাশের দিকে
আকাশ যে আমার বড় প্রিয়।
প্রতিদিন সূর্যমুখী হয়ে তাকিয়ে থাকি
তাকিয়ে থাকি অপলক,বিরামহীন প্রশ্নে –
সূর্যের তাপে সেঁকে নিই অবসন্ন শরীর
প্রেরণার উৎসস্থলে সূর্য প্রণামে দিন শুরু।
‘গায়ে মেখে সোলালি ডানার রোদ্দুর’
ছড়িয়ে পড়ি রবি ঠাকুরের গানে
আমি গান হয়ে যাই ,কবিতায় খুঁজি
মননের শাখা-প্রশাখার গভীর টান।
কানে কানে জড়ানো সেই কথার রেশ
ভেসে আসে পুব থেকে পশ্চিমের প্রান্তরে
আমি মেঘ হয়ে যাই , জলভরা মেঘে-পোশাক পরি।
হাওয়ার ভাসতে ভাসতে , আকাশ কালো করে
আবেগের বৃষ্টি হয়ে শান্তির বাণী নিয়ে
মূষল ধারায় প্রেম জড়ানো মাটির বুকে
এক পশলা বৃষ্টি মুখর দিন হয়ে
ঝাঁপিয়ে পড়ি প্রেমিকার রূক্ষ মাটির বুকে।