ক্যাফে কাব্যে কথাকলি

মরণ রে তুঁহু মম
মৃত্যুরও প্রেমিক হয় প্রেমিক আছে।
মৃত্যুর সাথেও নিভৃতে গভীর একাত্ম প্রেম অনুভূত হয়।
যখন খসে যাবে মরশুমের শেষ পাতাটি
সেদিন মাথা রাখার ঠাঁই হবে মৃত্যুর প্রশস্ত বুকে।
এক ঝাঁক বুনো টিয়া উড়ে গিয়ে বসবে বনে বনান্তরে…
মৃত্যুর নিবিড় আলিঙ্গনে আবদ্ধ হবে
এক অশান্ত মন।
গাঢ় চুম্বনের কষ গড়িয়ে পড়বে নীলাভ ঠোঁটের কানাচ বেয়ে।
মৃত্যুকে ভয় কী! ভয় কী মৃত্যুর অবগাহনে স্নাত হতে!
ওর সাথে যে বিগত বহুজন্মের কান্নাভেজা ঝাপ্সা প্রেম।
আলো আঁধারী এক গভীর নির্জনতার প্রেম।
সারাদিনের শেষে পৃথিবী যখন শান্ত হয়
রাতের আকাশ ছেয়ে যায় এক ঝাঁক তারার আলোয়
বিষাদের মরমীয়া সুর ভুলে কবিতার আঙুলে তখন ফুটে ওঠে
শ্বেতশুভ্র ব্রহ্মকমল।
নিমগ্ন আকাশের দিকে তাকিয়ে
সমস্ত শোক ভুলে আমি মৃত্যুর
অপেক্ষা করি।
এমন গাঢ় আলিঙ্গনের স্মৃতি
পূর্বজন্মের ক্ষত থেকে
আজও যে মুছে যায় নি…
মুছে যায় না সহজে।
শেষ রাতের শিরশিরে হাওয়ায়
হাস্নুহানার গন্ধে দুচোখের পাতা
ভারী হয়ে আসে।
হিমেল বাতাসের আদরে চারিদিকে শুধু গাঢ় ভালোবাসার সুগন্ধী ছড়ানো।
পৃথিবীর যাবতীয় পার্থিব শব্দগুলো
ধীরে ধীরে অস্পষ্ট হতে থাকে…
খোলা আকাশের নিচে শিশিরের কণায় ভিজতে থাকে কবিতার খাতা।
মৃত্যুর বুকে তখন গভীর নিদ্রায় মগ্ন কোটি কোটি যুগের অক্ষত এক প্রেমাস্পদ।
যাচিত প্রেমের স্পর্শে এ এক চিরশান্তির নিদ্রা…চির আনন্দের নিদ্রা ।