সমীপেষু

” আমি কি রহস্যাবৃত, আমি কি জন্মপথগামী!
বর্ষণের শব্দে আমি কি উঠিনি জেগে জন্মের ওপারে!
কী দেখেছি আমি? ক্ষয়াটে সংসার আর আগুন জ্বলছে দিন-রাত
অক্ষর পুড়ছে, আনন্দ পুড়ছে, পোড়া ভাষা জেগে উঠে
জল চাইছে, তেজ ও তিতিক্ষা চাইছে, চাইছে মধুর অক্ষি, স্তব্ধতার গান
আমার সম্মুখে রয়েছি যে-আমি একমাথা জলের সমান’ । ”
রাহুল পুরকায়স্থ

একজন ভালো মানুষ না হলে একজন ভালো কবি হওয়া যায় না। রাহুল দার সাথে যতবার দেখা হয়েছে এত স্নেহ দিয়েছেন, লেখার জন্য উৎসাহিত করেছেন! আজ সেগুলোই মনে পড়ছে।
রাহুল দার কবিতার মধ্যে একটা ঘোর আছে, যে ঘোর বৃহত্তর জীবনের কথা বলে। জীবন আর মৃত্যুর মাঝখানের বদ্বীপের মত দোয়াবে বসে আগামী জীবনের একাকিত্ব, বিষন্নতা, সেই জীবনের প্রস্তুতি, স্বজনের শোক, সম্পর্কের ওম তাঁর কবিতার কথন, আত্মা। আর সেই কথন শৈলীই তাঁর কবিতাকে এক স্বাতন্ত্র্য শব্দের অনুরণনে বেঁধেছে, যা কবির নিজস্ব মৌলিকতা। আর সেই মৌলিকতাই বারেবারে মুগ্ধ করেছে। এই সৃষ্টিকে এবং সৃষ্টিকর্তাকে বারবার প্রণাম জানিয়েছি। রাহুলদার মত কবিদের মৃত্যু হয় না। তাঁর সৃষ্টিই তাঁকে অমর করেছে। আর তাই ছবি পোস্ট করে শোক প্রকাশ করতে চাইনি।
তোমার সৃষ্টিকে আমি নতজানু হয়ে প্রণাম করি। তোমার কবিতাই তোমার পরিচয়; তোমার অস্তিত্ব। আর সেই কবিতার মধ্য দিয়েই তুমি সদা প্রাঞ্জল উজ্জ্বল হয়ে রইবে আমার হৃদয়ে, আমাদের হৃদয়ে।
প্রণাম

রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *