কবিতায় শম্পা সামন্ত

ভিড়িয়ে দিচ্ছি যাপন
কণ্ঠীকে উপকণ্ঠে রেখে কী হবে
যদি না ঝোরো বাতাস উড়িয়ে নিল আবেগ!
জলবাসি পানকৌরির মতো সাঁতার শিখেই বা এত কী,
যতক্ষণ সুনামি এসে মরণ সাগরে ভাসিয়ে নিয়ে গেল?
মনের মন্দিরে অজস্র কানা মাছিদের ভিড়।
মধু বিক্রীর হাটের বরাদ্দ বেড়ে যাচ্ছে।
তবু শিয়রে জীয়কাঠি রাখি প্রিয়তম ব্যক্তির মাথায়।
সেবার ফুলদানি ভরে রাখি রংবাহারি ফুলে।
এই ফুল আমার নয়। এই বাগানের মালিকানাও।
মালীরা ফুলের বনে মৌমাছির খবর রাখছেনা।
এই বটবৃক্ষের নীচে পেতেছি সংসার।
এই নদীর চরায় ঘর বেঁধেছি বালি দিয়ে।
জানি একদিন ভেসে যাবে হৃদয়ের সংগোপন।
তবু কোনো কারণ এই উদযাপনের ধারে বসে নেই।
শুধু ডিঙি বেয়ে মাঝ দরিয়ার দিকে ভিড়িয়ে দিচ্ছি যাপন।