ক্যাফে কাব্যে তনুশ্রী দাস

আজ এক ধুমকেতুর জন্মদিন ।
কুহকিনীদের ডাকে
শত নীহারিকা পেরিয়ে
নেমে এসেছে পৃথিবীর বুকে ,
হৃদয়ের লিপিকাতে লিখেছে এক কাব্য ।
যামিনীর কুহেলিকায় জ্বেলেছে জোনাকির আলো
গড়েছে মায়াবি নগর ।
এ নগর আদিম থেকে সভ্য হয়েছে
খরার দেশে বর্ষার অভিপ্রায়ে ।
তারপর বহু বসন্ত….
সেই দ্যুতি মানব
প্রাচীন গুহার দমবন্ধ করা তমসায়
আবিষ্কার করেছে
শ্বাস ফেলা এক উঠোনের ।
আমারও চোখ এঁকেছে
এক তিতাস ভরা স্বপ্ন
পাখির নীড় গড়বে বলে ।
দিগন্তে চোখ রেখে স্বীকারোক্তি গেয়েছি এ ভালবাসার।
মনের গুপ্ত কুঠুরিতে যত্নে লিখেছি
শাশ্বত হোক এই কহন।।
বেলা শেষে,
রামধনু মুছে মেঘ গর্জন
মাতাল করীর করতলে
উত্তাল মোর তরী।
পিছুটান ফের,
সেই স্মৃতিদাগ
আজও উজ্জ্বল ছায়াছবি।
তাই ঘুমের শিরা কাটি
শীতল শ্বেত পাথরে
লিখি অন্তবিহীন চিঠি :
এ জীবন শাশ্বত নয়
তবে শাশ্বত মোদের প্রেম, মোদের কহন ।।
এরপর
কোনো এক ক্ষয়িষ্ণু বিকেলের আগমন
গোধূলি যেখানে ছড়ায় বিষাদ ।
চার দেওয়ালের ভেতর
পাজঁর ভাঙা আর্তনাদের প্রতিধ্বনি।
এক আকাশ পাড়ি দিলে বিদেশ যাত্রায়
অন্য আকাশ নিস্তব্ধ, বাকরুদ্ধ ।।
হাতড়ায় সে এদিক ওদিক
খুঁজতে সেই প্রাচীন মানচিত্র
কিন্ত পায়না
সূর্য ঢলে পরে পশ্চিমে
অন্য আকাশ শীতের বর্ষায় জ্বরঠুঁটো মাখে গায় ।।