কবিতায় শর্মিষ্ঠা মিত্র সেনগুপ্ত

অলীক পংক্তি

সুদৃশ্য পিটুনিয়ার রং গড়িয়ে এসেছে মেঝেতে
এক ঝলক টাটকা বাতাসের সাথে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ে রাধা-গোবিন্দর মন্দির, বুড়ো অশ্বত্থতলা, বাঁধানো ঘাটের কালচে সবুজ সিঁড়ি।
ক্ষণিক পরে বাঁশপাতার মত দুলে দুলে নেমে আসে দীপ্ত একখানা মুখ, হইহই ঘুড়ি ওড়ানো, চৈত্র দুপুরের প্রথম নোনতা চুমু-
এইসব প্রস্তর যুগের ছবি টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে উড়িয়ে দিই বহুতলীয় ব্যালকনি থেকে।
মহার্ঘ্য শ্যান্ডেলিয়ারের নেশাতুর আলোয় ঢেকে যায় চামড়ার গভীরে কেটে বসা ক্ষত
আজকাল কাকচক্ষু জলের ফোঁটাও টুং টুং শব্দে বেজে ওঠে- “চিয়ার্স”।
বহুল এই জীবনে ভালবাসাই একমাত্র বিলাসিতা।
প্রাচীনপ্রার্থনার স্তব আর পাথরশোকের স্তূপ আগুনসমষ্টিতে পুড়িয়ে ফেলে দোতারার সুরে অলীক পংক্তির ঘুম সাজাই।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *