অণুগল্পে রমেশ দে

অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ

শৈশব হারিয়ে গেল, দাদু, ঠাকুমা চলে গিয়েছে। গ্রামের সেই স্কুলের পাঠ আর নেই। কলেজ জীবন শেষ হয়েছে। বাবা আর নেই। লুকোচুরি খেলার সেই দিন আজও মনের আয়নায় ভেসে ওঠে। হাডুডু, ফুটবল, সাইকেলিং সব যেন মনে করিয়ে দেয় শৈশবের সেই দিনগুলোর কথা।অমর আজ মুম্বাইয়ে কর্মরত, দ্বিজেন আমেরিকায়, সুশীল আজ আর নেই রোগের কবল থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। অতীত তাকে কেড়ে নিয়ে চলে গিয়েছে দূর আকাশের সেই তারাদের দেশে। এখন অতীত থেকে বর্তমানে চলে এসেছি। যেখানে কর্মরত জীবন, এক সুন্দর, হাসিখুশি পরিবার। যেখানে আমি বাবার ভূমিকায় অবতীর্ণ।আর আমার সেই গেরামের স্কুলের মাস্টার, কেউ চলে গিয়েছে। কেউ যাবার জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে।আর কেউ বা দাদুর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে মহীরুহ থেকে ছোট্ট চারা গাছে পরিনত হয়েছে। যেখানে সে অক্সিজেন পায় নাতি, নাতনিদের স্নেহের পরশে। খাবার পায় ছেলে, বউয়ের দয়ায়।আর ঘুমের জন্য ঔষধ পায়, পাশের দোকান থেকে।এই তার বর্তমান। আমরা শৈশব থেকে যৌবনে যাই, ভবিষ্যত সুন্দর করার জন্য। যৌবনে চেষ্টা করি। বার্ধক্যের ভবিষ্যত সুন্দর করার জন্য। কিন্তু অতীত একরকম হয়, বর্তমান আর এক কথা বলে আর ভবিষ্যত অনিশ্চিত সুন্দর ধরা দিতে চায়।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *