T3 নববর্ষ সংখ্যায় ঈপ্সিতা

জামরঙা রমণী
পুরুষ চায় নারী বাসন্তী রোদ হয়ে
আলো করে রাখুক তার চারিপাশ।
প্রেয়সীর নীলপদ্ম চোখের কাজল কালো মেঘ
ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামাক ফুটিফাটা সাহারায়।
তার শিশির মাখা ঠোঁটের মৃদু হাসি
থামিয়ে দিক পৃথিবীর বৃহত্তম বিশ্বযুদ্ধ।
কিন্তু এসব কিচ্ছু না। আমার মন টেনেছিল,
জাম রঙের এক অশিক্ষিত গ্রাম্য রমণী;
যে তার বুকের উত্তাপে বাঁচিয়ে রেখেছিল
একটা নিভন্তপ্রায় সংসার।
শয্যাশায়ী শাশুড়ি, মাতাল স্বামী, দুধের শিশু;
এই সবকিছুকে আঁচলের খুঁটে বেঁধে
সকাল হলেই সে বেরিয়ে পড়ত ঝিয়ের কাজে।
ফেরার সময় কিনে আনত
ছেলের দুধ, শাশুড়ির ওষুধ।
গাঁয়ের ঝিলে নাইবার সময় সে তুলত
তাজা কল্মি, গেঁড়ি-গুগলি, বকফুল, মানকচু;
পঞ্চব্যঞ্জনে সাজিয়ে ফেলত স্বামীর পাত।
কাকভোরে উঠে তার শুকনো পাতার আঁচে
দাউদাউ সিদ্ধ হত—
পৌষের ধান ও সুদিনের প্রতীক্ষা!