কবিতায় নবকুমার মাইতি

সম্পর্কের শিকড়
আতস কাচের নিচে দৃশ্যমান ভাঙ্গনের ছবি
ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে নিকোনো উঠোন
ঘর-গেরস্থালি, মোহ- মদির স্বপ্ন পদাবলী
ভাগের মা পায়না আগুন, বাসের ঘরটা ভেঙ্গে খানখান।
ভাঙ্গা আসবাবপত্রের মতো ভেঙ্গে পড়া
সম্পর্কগুলো, জোড়া লাগানোর নিষ্ফল প্রয়াস
অনতিবিলম্বে মুখ থুবড়ে পড়ে। অবক্ষয়
আজ সর্বত্র সমাজ শরীরে, সত্তার শিকড়ে
কলঙ্ক আছে জেনেও মানুষ চন্দ্রমা ভালোবাসে
কিন্তু ঘোচেনা চাঁদের কলঙ্ক, রতি চিহ্ন
কলায় কলায় ছড়িয়ে পড়ে রাত, অঘোষিত বিধান
অনিকেত জ্যোৎস্না চাঁদের মায়াপাশ থেকে
নিজেকে ছিঁড়ে ক্রমে অনন্ত প্রসারী হয়ে ওঠে
ক্ষয়ে যাওয়া দ্বিতীয়ার চাঁদ তখন মহার্ঘ হয়ে যায়
বিনাশের শেষ মুহূর্তে ছুঁয়ে যায় সম্পর্কের শিকড়
ক্রমে বিষন্ন হয়ে ওঠে সৃজনের সুর, সুখী ভাতের গন্ধে ঝিম-ধরা গৃহস্থ দুপুর
ভেঙ্গে যায় শব্দের নৈকট্য, প্রেম সুমিত বিশ্বাস!