ওরফে তারাখসা এবং তুমি বালক (পর্ব ৩)

পিয়াংকী
লাজবন্তী আমার নাম নয়। এটি সাময়িক রূপভেদ। অবসরও বলতে পারেন। আমি খুল্লামখুল্লা উলঙ্গ সাদা, ফুল্লরী। নাচতে নাচতে কবিতার পাশে বসি। ঘুম খেতে গিয়ে দু’ঢোক জল বেশি খাই। অথচ বালক তুমি এলেই ঢংয়ে ঢংয়ে ভরিয়ে ফেলি বিছানা। এই বিছানায় ঠেকে আছে স্ত্রীঅঙ্গ পুরুষঅঙ্গ। বীর্যতে জল ঢালিনি বলে বুকের ওপর খাড়া হয়ে আছে মায়ের খড়গ। আবার এখানেই ঢিলে হয়ে এসেছে ভিতরের আপেলআঙুর। নতিস্বীকার নেই আমার, সবটাই উড়ুক্কু মাছের মতো, যেন স্বাভাবিক এক আমি ঝাঁকুনি দিয়ে দিয়ে নেমে যাচ্ছি পাতালের শেষ সিঁড়িতে।
লাজবন্তী হলে এসব হত না। বালকবালিকা খেলা থেকে একটাও ঘুঙুর খুলে পড়ত না ঘরের মেঝেতে। চৈত্রের দুপুরে খাবি খেত না তোমার ব্যক্তিগত রাজহাঁস। এতকিছুর পরও লাজবন্তী কিংবা ফুল্লরী, দু’জনের প্রিয় রঙ লাল। কীভাবে প্রিয় এক হয়ে ওঠে জানে কেউ? এদের একত্র-সময় হাতসাজা পান। মেরুন ঠোঁটের ওপর ছোপধরা বিচ্ছিরি দাগে দাঁতে অথবা যত্ন করে মোছা বালকের পা — মিলে যাচ্ছে সাদৃশ্যের মতো। অবলম্বন অবলম্বন! ইহাই অবলম্বন অখিলনন্দন!
ফুল্লরী যা পারে,তুমি তা পারো না। কেন পারো না,এই প্রশ্ন বৃথা, উত্তর বৃথা না হলেও আশানুরূপ হবে না,এটা জানো তুমিও। তুমি লাজবন্তী, তুমি গোলাপিরঙের জিভ,তুমি ঘাগড়ার সোনালি জরি, তুমি ম্রিয়মান। আমি সন্ধান করি তোমায়। ভিতরে বাইরে আগায় পাছায় বুকে পেটে — সর্বত্র। আমি অবসরে কেবল তোমায় খুঁজি লাজবন্তী।
তুমি ধরা দাও না। ফুল্লরী চিৎকার করে, ডাকে, ও লাজ,লাজ। সাড়া নেই তোমার। জানি, সাড়া দিলেই ফুঁ: হয়ে যাবে চরাচর। দিও না সাড়া। গলা চিরে রক্ত বেরোলেও একটি নিশ্বাসের শব্দও যেন এপাড়ায় এসে না পৌঁছয়।
জিইয়ে রাখো। তুমি জিওল। আমি বরং বৃত্তের এপারে অপেক্ষা করি, তোমার জন্য অপেক্ষা করলে বালক অপ্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে অবলীলায় …