T3 || শ্যামা আমার || দীপাঞ্জলী সংখ্যায় কল্যাণ গঙ্গোপাধ্যায়

কালো পোশাকের ভূত

রাতে এলাকার লোকেরা কালো পোশাকের একটা ভূত দেখেছে।

কত লোক রাতের বেলা নদীর চর থেকে বালি তোলে, গরু,বাচ্চা, মেয়েলোক, চাল, তেরপল কতকিছু পাচার করে। সব রাতের কারবার এখন চৌপাট। রাতে ভূত ঘুরলে করেকম্মে খাওয়া যায়?

বেশি অসুবিধা নসুর। সে সামান্য চোর। গৃহস্থ বাড়ি থেকে এটা ওটা চুরি করে সংসারের চারটি পেট চালায়। বড় চোর হওয়ার এলেম তার নেই। সে থানায় গিয়ে নতুন  দারোগাবাবুর পা জড়িয়ে ধরল। আমাকে বাঁচান। আমি না খেতে পেয়ে মরে যাচ্ছি।

ভূত ধরার জন্য ভূতুমপুর থানায় তিনি এসেছেন। নসুকে বললেন, তুই আমার সঙ্গে চল। আমাকে ভূত দেখা দিচ্ছে না। আমি আড়ালে থাকব। ভূত তোকে দেখে সামনে এলে তখন ধরব।

নসুকে দেখে কালো পোশাকের ভূত দুহাত বাড়িয়ে ধরতে এল। দারোগাবাবু আড়াল থেকে বেরিয়ে ধরল ভূতকে।

ভূত মিন মিন করে বলল, আমি ললিতা। পবনেরর বউ। গাঁয়ের কিছু দুষ্ট প্রভাবশালী কিছু লোক পবনের জমি কেড়ে ওকে মেরে ফেলেছে। আমাকে ধরলে অত্যাচার করে পাচার করবে। ভূত সেজে না থাকলে ইজ্জত থাকবে না। আমাকে বাঁচান।

নসু বলল, পবন আমার বন্ধু।ওর জমিতে কাজ করতাম। এখন চুরি করি।

দারোগাবাবু ললিতাকে বললেন, আমি কথা দিচ্ছি ওই লোকগুলিকে শাস্তির জন্য প্রমান সমেত চালান করব। ততদিন ভূত সেজেই থাক। তোমার দায়িত্ব আমি নসু আর ওর বউয়ের উপরে দেব।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।