সম্পাদকীয়

নীল উপুর করা স্ফটিকের বাটিটার গায়ে দুপুর থেকেই ধূসর প্রলেপ লাগে, তারপর শেষ বিকেলে কে যেন এসে তাতে সোনালী রঙ লাগিয়ে দিয়ে যায় নীচের ভাগে। বাটি ভর্তি মিছরি দানা উপচে পড়ে সারা দুপুর। হলদে ফুলের চোখ বুজে যায়। বেগুনী ফুলগুলো মুখ লুকিয়ে ফেলে ঘাসের বুকে। ঘাস, পাতা, ভিজে মাটির তীব্র গন্ধ ঝাপটা মারে নাকে। অনেক রাতে একটা দুটো রূপোলী চুমকি দেখা যায় রঙ ধেবড়ে যাওয়া বাটিটার গায়ে। শেষ বিকেলে একটা মাছরাঙা তীক্ষ্ণ শীষ দিয়ে বাসায় ফেরে।
ভোরের দিকে সব রঙ লেপে পুঁছে গিয়ে নতুন করে ফিরোজা, রঙ ধরে ম্যাজিক বাটির গায়ে, তাতে সোনালী জরির নক্সা ফোটে।
এই ক্যালাইডস্কপ দেখায় ম্যাজিক বাটি রোজ।
দৃশ্যপটের পরিবর্তন হলেও, সকাল বিকেল মাছরাঙা তাঁর তুঁতে রঙা ডানা মেলে উড়ে যেতে যেতে বলে যায় ‘কিছু রঙ বদলায় না, শুধু ঢাকা পড়ে যায় মাঝেমাঝে’। ছাতারেরা সঙ্গে সঙ্গে সমস্বরে সায় দেয় ।
আলোয় থাকুক জীবন ।
শুভেচ্ছা নিরন্তর ।
ইন্দ্রাণী ঘোষ