প্রবাসী মেলবন্ধনে আবদুল বাতেন (নিউ ইয়র্ক)

১। নস্টালজিক
দেশ দেশান্তরে যে নদীর নাব্যতায় ঝাঁপিয়ে পড়ি না কেন
আমি পদ্মা পদ্মা বলে নেচে উঠি
যমুনা যমুনা বলে বুকে জড়াই।
বন বনান্তরে আমি যে পাখির প্রণয়ে মাতাল হই না কেন
আমি দোয়েল দোয়েল বলে চিৎকার করি
শালিক শালিক বলে কেঁদে উঠি।
পথে প্রান্তরে আমি যে ফুলের সুষমায় সুখী হই না কেন
ডালিম গাছের মৌ বলে ডাক পাড়ি
ও পলাশ ও শিমুল গান গেয়ে যাই।
শহরে ও গ্রামে যে নারীর নমনীয়তায় রোমিও হই না কেন
আমি প্রিয়তা প্রিয়তা বলে হাহাকার করি
জানু, জানু আমার বলে গোপনে অশ্রু ফেলি ।
সাথেই রাখি ফেলে আসা রৌদ্র ছায়া, পাওয়া এবং না- পাওয়া।
আমি মিলন সুখের পাশেই বাঁধি বেদনার বাসর ঘর।
২। স্বপ্নের অপর নাম
এই মিথ্যার মৌসুমে, তোমাকে কোথায় রাখি- সততা, সুন্দর?
কিভাবে ধরে রাখি- সাধারণ, সুষমা?
এই মূর্খের মজলিসে তোমাকে কোথায় জ্বালি- সুশিক্ষা, শিখা?
তোমাকে কোথায় পাই- মাধুর্য, মমতার?
ভুয়া এবং ভণ্ডদের রাজক্তে কিভাবে পুষি- আদর্শ, আলো?
কে বাতিল করছে- ত্যাগের মহিমা?
মুখোশের এই মিনারে কোথায় উড়াই- পতাকা, পবিত্রতার?
কিভাবে আঁকি- মনোহর, মানচিত্র?
এই ইতরের দেশে তোমাকে কোথায় লালন করি- প্রগতিপদ্ম?
কোথায় জুটবে- ঠিকানা, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের?
দানবের দুঃশাসনে তোমাকে কোথায় রাখি- মুকুলিত মানবতা?
কে ছিনতাই করছে- ন্যায়বিচার, নীলাকাশ?
ঘৃণার দারুণ এই দহনকালে কোথায় রাখি- পল্লবিত প্রেম?
হারাচ্ছে কোথায়- আলিঙ্গন, ঊষা। চুমুচন্দ্রিমা।
কোন ছুঁ মন্তরে অদৃশ্য করে রাখি বুক তোলপাড় করা তোমাকে?
যে তুমি স্বপ্নের অপর নাম।