কবিতায় পদ্মা-যমুনা তে ইমরান খান রাজ (গুচ্ছ কবিতা)

মেঠোপথ
গ্রামের আঁকাবাঁকা মেঠোপথ ধরে-
হেঁটে যাচ্ছিলাম,
পথের দু’ধারে আম-জাম-কলা গাছের সারি,
সাথে মৃদু শীতল বাতাসে যেনো প্রাণ জুড়ায়।
ছোটছোট ছেলেমেয়েরা সাইকেলের টায়ার-
এবং কঞ্চি দিয়ে বানানো গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে।
গাছের ডালে দোয়েল আর শালিক পাখিরা
ডেকে যাচ্ছে আনমনে, যেনো প্রকৃতিতে বসন্ত লেগেছে।
কিছুদূর এগিয়ে বয়ে গেছে নদী, স্রোতধারা নদী।
যেনো সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে চলেছে সে !
কয়েকজন জেলে মাছ ধরছে আর
একজন বংশীবাদক মনের সুখে বাজিয়ে যাচ্ছে-
মন ভোলানো বাঁশির সুর, আহা!
আরেকটি বার
বৃষ্টি এলো
ভিজিয়ে দিল
আমার এই মন,
তুমিহীনা দিনটাতে
থাকেনা সুখ
করে শুধু জ্বালাতন।
দিকে দিকে খুঁজি
সকাল-বিকাল-সাঝে
পাইনা কোথাও দেখা,
তোকে ছাড়া আমি
শূন্যতায় ভুগি
কেন জানি লাগে একা৷
ছুঁই ছুঁই করে
তোকে ছুঁতে পারি না
পালাস কেন বারবার?
চল ভালোবাসি,
চল কাছে আসি
তুই-আমি আরেকটি বার।
সুখের ভেলা
আকাশে উড়ে যায় মেঘ,
পাখিদের দল আর সুখের ভেলা।
বহু উঁচু দিয়ে তারা উড়ে যায়
যেনো ধরাছোঁয়ার বাইরে!
শুধু চোখ দিয়ে দেখে,
শান্ত থাকতে হয় নিজেকে।
যদিও মানুষ হিসেবে শান্ত থাকাটা-
কিছুটা অস্বস্তির আর কষ্টের।
সুখ এসে সহজে ধরা দেয় না,
কষ্টগুলো সহজে পিছু ছাড়ে না,
তবুও আমরা শকুনের দৃষ্টির মতো
তাকিয়ে খুঁজে ফিরি সুখ।
হাজার রহস্য উদঘাটন করতে
হইনা কখনো বিমুখ।
মানুষের মতো রহস্যময় প্রাণী
দুনিয়াতে হয়তো দ্বিতীয়টি নেই আর!