ক্যাফে কাব্যে সুনন্দ লস্কর

অভাব-অনটন
মুলি বাঁশের বেড়া আঁকড়ে ধরতাম প্রানপনে
বাবা থাকতো পাশে
এদিকে বৃষ্টি আর এক পৃথিবী উল্টানো হাওয়ার আগ্রাসন সাথে মেঘগর্জন
মাঝরাতে।
আগ্রাসী হাওয়ার বিপরীতে মোমের
আলোর জ্বলে থাকার ব্যর্থ চেষ্টার মুহূর্তে
অস্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠতো সাতটি ছায়ার অবয়ব মূর্তি সারা অপরিসর ঘরের
রংচটা দেয়াল জুড়ে।
অদ্ভুত ভীতু ছিল মা
সব্বাই কে চৌকির নিচে চালান করে
সাহসী সাজতো , নিজে বাইরে দাঁড়িয়ে থেকে
প্রহর গুনতো আর শাঁখ বাজাতো কাঁপা কাঁপা হাতে।
তাতে লাভ হতো কিনা জানি না
কিন্তু প্রতিধ্বনি হয়ে চারিপাশের বহুতল থেকে
টিনের চালেই দ্বিগুন শব্দে আছড়ে পড়তো উল্লাসিত বারিধারা ;
নিচের অন্ধকার গুলগুলিতে
দুটো ভিজে কাক আর কিছু পায়রা
ডানা ঝাপটিয়ে ফিরে আসতো ।
নিস্তব্ধতা অন্ধকারে শেকল তুলে
গুম মেরে যেত।
মা’র চোখে ইস্পাতকঠিন বজ্রবিদ্যুৎ –
বাষ্প হয়ে আর মিলিয়ে যাবার ব্যবধানটা ক্রমশ বাড়তে দেখতাম…