সম্পাদকীয় কলম

প্রকৃতির ভাষা
প্রকৃতিকে আমরা কতটা বুঝি! আমরা কি প্রকৃতিকে ঠিক চিনে উঠতে পেরেছি? যদি চিনতে পারতাম, উপলব্ধি করতে পারতাম তাহলে হয়ত প্রকৃতির নিজস্ব সম্পদগুলোকে আমরা নিজেদের হাতে নষ্ট করতাম না। সেই জন্যই হয়ত আমরা কেউ জেনে অথবা না জেনে প্রকৃতির ক্ষতি করে চলেছি। এই যেমন গাছ কেটে ফেলা, রাস্তার যেখানে সেখানে প্লাস্টিক ফেলে দেওয়া, পরিবেশ দূষিত করা ইত্যাদি ইত্যাদি।
প্রকৃত কবি-সাহিত্যিকরা প্রকৃতির ডাক শুনতে পারে। তাঁদের সাথে অবিরত কথা হয় তাদের। সেই জন্যইতো তাঁদের রচিত লেখা পড়ে আমরা সাধারণ পাঠকরা আরও প্রকৃতির প্রেমে পড়ে যায় এবং অনুগামী হয়ে উঠি সেই সকল কবি-সাহিত্যকদের। আমরা যখন ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেদের ছবি তুলি তখন চাই পিছনের দৃশ্যটা যেন সুন্দর হয় যাতে আমাদের ছবিটা যেন একটু বেশি সুন্দর দেখায়। পিছনের সেই সুন্দর দৃশ্যটায় আসলে প্রকৃতির দেখানো ম্যাজিক যেখানে সূর্যাস্ত থাকে, দিগন্তের সৌন্দর্য থাকে। সাধারণ মানুষরা খালি চোখে যেটা দেখতে পারে না সেটাই আসলে কবি-সাহিত্যিকরা অন্তরদৃষ্টি দিয়ে দেখে। আর তাঁরাই আমাদেরকে তাঁদের রচিত কথাগুলো দিয়েই আমাদের অন্য একটি দৃশ্য দেখতে সাহায্য করে যে দৃশ্যে স্বপ্ন থাকে, ভালবাসা থাকে, এবং অনেক না বলা কথা থাকে যা শুধু উপলব্ধি করা যায়। সেই অন্তরদৃষ্টি থাকলে প্রকৃতির ভাষা বোঝা যায়।
আমাদের সকলকে প্রকৃতিকে ভালবাসতে হবে, প্রকৃতির প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে। যে প্রকৃতির মাঝে আমরা বেঁচে আছি সেই প্রকৃতির সম্পদগুলোকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে হবে। এই দায়িত্ব আমাদের সকলের।
তাইতো কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন – “প্রকৃতি ছাড়া মানুষ মাত্র অসম্ভব” এবং কবি জীবনানন্দ দাশ লিখেছেন – “প্রকৃতির প্রেমে বনে গিয়ে আছি নির্জন রাতে” ।
সবুজ বাসিন্দা