সম্পাদকীয়

আমার পশ্চিমের জানলার খুব কাছে একটা অশোক গাছ রয়েছে। বসন্ত আসলেই ফাগুন হাওয়া এমন ভাবে ছুঁয়ে দেয় যে সে রক্তিম পুষ্পে সবার মন ভরিয়ে তোলে। থোকা থোকা কমলা লাল ফুল। তার রূপের বন্যা দেখলে ভারী হিংসা হয়। বসন্তের আগমনের কথা সে আমার আগে টের পায়। জানলা খুললেই আগুনের মত রূপ নিয়ে আমার সামনে নিজেকে মেলে ধরে। ওকে দেখে আমি সমিধ বৃক্ষ হয়ে যাই। দাউ দাউ করে পুড়তে থাকি। পুড়ে যায় সুখ। পোড়ে জমানো সব পাপ। অজস্র মৌমাছির আনাগোনা বেশ তাড়িয়ে তাড়িয়ে অনুভব করে। বুকের ফোটা ফোটা মধু ঢেলে দেয় মৌমাছিরা হুলে। এই জ্বালাতেই ওর সুখ। বেহায়া কোকিলটা কি ওকে কম জ্বালায়! রেণু মাখা গন্ধে ও ঠিক চলে আসে। আর অষ্টপ্রহর বিরহের ডাক। যেন ও থামতে শেখেনি। কেন থামবে ? সে যে এসেছে!জ্যোৎস্না রাতে ও যখন শরীর ভেজায় আমি তখন রাত আঁচলে নিজেকে ঢাকি।
রীতা পাল