• Uncategorized
  • 0

গদ্য বোলো না -তে সুপ্রতিম রং

চুমুর পরিচর্যা 

চুমু যে কখন ঠিক চুমু হয়ে ওঠে, বোঝার আগেই দ্রুতগতির অন্তর্জালে বন্দি প্রজন্মের নেট প্যাক থুড়ি অনুভূতি শেষ। তাই বলে কি থেমে থাকবো ! ভুলে গেলে চলবে ? “ হাল ছেড়ো না বন্ধু, কণ্ঠ ছাড়ো জোরে ”, এক্ষেত্রে ভাবটাকে ছাড়লে চলবে না ।
চিরন্তন উদ্যেশের দিকে হাঁটতে হাঁটতে যত অভিজ্ঞতা কুড়াচ্ছি, বুঝেছি দুটো চামড়ায় স্পৰ্শ হলেও চুম্বন সবসময় হয় না ! আরে বাবা অনুভূতিকে জাপটে ধরে এক লহমায় গিলে ফেলা কি এতোই সোজা ? যদি তাই হতো তাহলে তো সম্পর্কে বিচ্ছেদ হতো না, মানুষ একটা মনের পিছনে ছুটেতো না।  ছোটবেলায় পড়েছিলাম আমাদের তিনটি মৌলিক চাহিদা, খাদ্য – বস্ত্র – বাসস্থান ; এখন অনুভব করি আসলে চারটে, ‘মন’ ! তবে এটা ওই খাদ্যের মধ্যেই নিহিত আছে কিনা জানি না, না মানে ওই মনের খিদে আর কি। তাবলে চুমু যে শুধু মনের খিদে তাও কিন্তু নয়, বরং আমাদের মাথায় উল্টো টাই বেশি আসে। এবার একবার পথের পাশের সৌন্দর্য্য গুলো ও দেখি না আমরা!
আমার প্রথম চুমু ওই দু দিন বয়সে, ওটাকে হামি ই বলি… তারপর যত চুমু খেয়েছি ওই জড়ো বস্তুর সাথে আমার নির্জীব ঠোঁট, কখন মেডেল, প্রশংসাপত্র আর না হলে বই। ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশের সব থেকে সরলিকরণ মাধ্যম যে এই চুমুই, তা অস্বীকার করি কি করে বলুন। না হলে উধ্যতা যৌবনে যখন দুটো কৌতুহলী মন, শরীর ছোঁয় চোখ বন্ধ করে এই চুমুই কিন্তু পরের লেভেল এ প্রবেশ এর অধিকার দেয়। অমাবস্যায় সূর্যগ্রহন ! আসলে চুমু মানে একটা প্রশয়, একটা কমিটমেন্ট পাশে থাকার, তাই হয়তো চুমুর এতো ভাগ। আমি চাইলেই তো র জড়িয়ে ধরতে পারি না কিন্তু কপালে চুমু করে তার সাথে আমার একাত্মতা জানাতে পারি বই কি। চুমু অনেকটা কবিতা, ভাসতে হয়, ভেসে যেতেই হয়, কোনো কূল নেই, সাঁতার জানা থাকলে ভালো নাহলে ডুবে মরো, তবে এই মরার মধ্যেও একটা ‘চুমু’ ব্যাপার আছে। চুমু নিয়ে আকাশ পাতাল ভাবতে ভাবতে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকি কি নিদারুন ভঙ্গিতে প্রতি মুহূর্তে আকাশ, দিগন্তকে দীর্ঘ চুম্বন করে চলেছে যেখানে সময় স্থির – ধ্রুবক ! ওই নৈসর্গিকতাকে আস্টেপিস্টে সারা গায়ে মেখে নিতে ইচ্ছা করে, ইচ্ছা করে প্রতিটা পরে যাওয়া চুমুকে একটা একটা করে তুলে রেখে দিতে। ওরা হাঁপাচ্ছে, ওদের উপর দখল দাড়ি চলছে, হয়তো ওরা এবার বিদ্রোহ ঘোষণা করবে। আমি অন্তত এটা বুঝি প্রতিটা পরিত্যক্ত চুমু জানে, নিজেকে নিগড়ে উপস্থাপনের ব্যর্থ পরিহাস ! আর আমি ? এই ব্যর্থ স্বত্বা গুলোকে সাজিয়ে চলেছি জীবনে অন্তত একটা লেখা ‘চুমু’ লিখবো বলে।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।