কবিতায় বলরুমে প্রদীপ গুপ্ত

অঙ্গীকার
কি বুইলবো বল কেনে রে বাবু
ঘরে ছট্টাক চাল লাই,
শালোর পুখুরে ঝা কলমি ছিলো
কাড়্যাকাড়্যি কইর্যে সব সাবার হঁইন গিলছ্যে
মেইয়ে মদ্দ পানচ দশ পঞ্চাশ্যের বাটখঁরা গুলানও
প্যাট বাজাইন খালি উনহানের গভ্যে হাত বাঁড়াইন দেয়।
উ গুলার কী দোষ বল দেখি ক্যানে?
শালো মাঙমারানির বাচ্চাগুলান যদি
মুরগি খেইয়েঁ চোয়াঁ ঢেকুর তোলে
তবে উয়ারা কি একটা পোড়হা রুটিও —
বাবুরে বল কেনে!
পঞ্চায়েতে লাইন লাগাইলোঁ সব
ঢেড়া দিচ্ছে বঢ় দাঁতাল গুলান
রিলিফ দিব্যে।
কী বলি বল কেনে —
তুঁয়ারা তো বুইলবি চুপ থাক খগ্যেন
মুর্মুরা সইঝ্য কইরতে জানে
প্যাটে গামছা বাইন্ধে পানি খেইয়েঁ কাটাইন দিতে পারে দিনরাত।
সে পারি বট্যে, ভুখা পেট্যে বিয়াইতে পারে
মুর্মুর ঘরের মাগী গুলান,
এত্তটুকু শব্দ না কইর্যে ঘুমাইন পইড়ত্যে পারে, মরদটারে পেঁচাইন ধইর্যে।
কিন্তু তাই বুইলে চাল না দিই — কি একটা ত্যানা ধরাইন দিল গ, আর একটা গোঠটা সাব্বান,
বুলে কিনা — পইড়ে থাক উ মুখ্যস, আর খাওয়ার আগ্যে হাত ধুইব্যি কেনে রে শালো,
নয় মুরবি, ঝটকাই মুইরে থাকব্যি ওই কাট্টা মুরগোটার পারা।
কুনো হেকিম বাঁচাইতে লাইরবে হঁ।
বল কেনে বাবু শুখ্যা মাঠে কেনে সার বিছাইনছে শালোরা।
শালো, মাঙমারানীর পো —
চাল দে শালো চাল —
ওই ন্যাকড়া,তুঁয়ার ঘরের মাগীগুলাইন রে দিস কেনে — উঁয়ারা পইরবে সুময়েঁ অসুময়েঁ
চাল দে মাঙমারানীরা,
লইলে মুরইরবার আগে জড়ো করা বিষ
লাগাইন রাইখবো তিরের ফলায়।
কুনো হেকিম তুঁয়ারে বাচাইনতে লাইরবে রে শালো।