কবিতায় বলরুমে জলি ঘোষ

শূন্য গানের ভুবন
সুরসম্রাজ্ঞী নেই!
হতভম্ব হয়েছে ভারতবাসী
আশ্বস্ত হয়েছে “ফেক নিউজ” ভেবে
ঘুরিয়ে নিয়েছে মুখ দূরে,
তামাশা ভেবে—-
অবিশ্বাসের সুরে।
কিন্তু না…..
সঙ্গীত জগতে ঘটেছে মহীরূহের পতন,
ভারত হারিয়েছে তার শ্রেষ্ঠ রতন।
স্তব্ধ বাতাসে শোকের ছায়া
“নীলা আসমান শো গ্যায়া”….
সত্যিই সুরলোকে গেলে তুমি
বাগদেবীর হাতটি ধরে!
অপার শূন্যতায় ঢেকে গেল
আসমুদ্র হিমাচল…..
গানের ভবন রইলো শূন্য পরে।
আকাশ জুড়ে আজ অস্তরাগ
শিবাজী পার্কে থমকে গোটা বিশ্ব,
চলে গেলে তুমি কোকিল কন্ঠী
কোটি কোটি ভক্তকে করে নিঃস্ব।
তোমার কণ্ঠে দেশভক্তি ছিল মূর্ত,
তুমি যে ভারতীয়ত্বের প্রতিমূর্ত।
আজ অশ্রু নদের বন্যা বইয়ে তুমি তৃপ্ত,
“অ্যায় মেরে ওয়াতন কে লোগো”
জারা আঁখ মে ভরলো পানি ”
চিরবিদায় নিয়েও রয়েছো হৃদয়ে
তুমি যে সুরের রানী।
মাত্র পঁচিশ টাকা গান গেয়ে
প্রথম করেছিলে রোজগার
রাজ সিং দুঙ্গারপুরকে ভালোবেসে
পেয়েছিলে কষ্ট আর তিরস্কার,
তবু ভালোবাসাতে ছিলে অবিচল
দেশ হতে দেশান্তরে সুরের মূর্ছনায়
কাঁপিয়ে জগৎ পেয়েছো
পদ্মভূষণ,পদ্মবিভূষণ,ভারতরত্ন পুরস্কার।
আজ আর সেই সুর ধ্বনিত হবে না….
তোমার কণ্ঠেই ছিল সুরের প্রাণ
আজ সুর প্রাণহীন,
“তুমি না আসিলে
ভালো না বাসিলে
সুরহীন, তালহীন, কালহীন”।
রইলাম তোমারই অপেক্ষায়…..
কোনো এক ফাগুন দিনে
আসবে রাঙিয়ে পলাশ বনে
বসন্তের কোকিল হয়ে,
যা কিছু মোদের প্রাপ্তি
দেবে তুমি তা ফিরায়ে।