কবিতায় পদ্মা-যমুনা তে জায়েদ হোসাইন লাকী (গুচ্ছ কবিতা)

জানি না, আমি কিচ্ছু জানি না
আমাদের এইসব আশ্চর্য তাকিয়ে থাকা
তা কী সত্য নয়?
দু’চোখের গভীরে যদি অপেক্ষার ছায়া থাকে
তাকে তবে কী প্রেম বলা হয়?
আমাদের এইসব নির্মোহ চোখাচোখি
তবে কী সেটাই প্রেম?
ঠোঁটের কোনে লুকিয়ে রেখেছো কী তবে
নিকষিত হেম?
এলা, কবিতাটি তোমার জন্য নয়
কারো আছে মাধবীলতা
কারো থাকে শাহাজাদি এলা
আমার আসলে কেউ নেই
আমি খুব একেলা
কারো জন্য কেউ মরে
কেউ আবার ঘুমের ট্যাবেলট খায়
কেউ আবার নিজের ভুলেই
মাধবীলতাকে হারায়
আমার কেউ হারায় না
নেই পালাবার কেউ
বুকের ভেতরে উঠেনা কখনোই
প্রেমিকা হারানোর ঢেউ
আমি শুধু আমার ভেতরেই
টুকরো টুকরো হয়ে থাকি
আমার যত দুঃখ আছে
ব্যাংকের লকারে জমা রাখি
বিষাদের ক্যাকটাস
চেয়েছি প্রেম, তুমি দাওনি কিছুই
মনের অন্তরীক্ষে জমে থাকা বিষাদের ক্লেদ
আমাকে করেছে বিষণ্ণ নীল ক্যাকটাস
আমার অভিবাসী মনে জমে আছে
কত আলোকবর্ষ ধরে; তোমাকে না পাওয়ার
আজন্ম অভিমান।
আজকের এই আততায়ী রাতে
ব্যর্থতার যন্ত্রণায় দগ্ধ হয়ে আমি খুব ক্লান্ত
আর বিভ্রান্ত, রাজশ্রী
নিকোটিনের ঠোঁটে চুম্বন দিতে দিতে না হয়
তোমার খোপায় একটি কদমের পাতা
গুঁজে দিবো কাল সকালে,
যদি বেঁচে থাকি!
আজ মনোময় অমোঘ জোছনা রাতে
তোমার প্রেম চাই না, বিষ দাও।
চেয়েছি প্রেম, তুমি তো দাওনিতো কিছুই!
আমার দুঃখগুলো আঁধারের ক্রিসেনথিমাম
রাত জেগে নিঃসঙ্গ শহরকে পাহারা দিচ্ছি
আমার সাথে জেগে আছে বারান্দার টবে লাগানো
একটি পুরুষ প্রজাতির গোলাপের গাছ
ঈশ্বর ঘুমিয়ে পড়েছেন মধ্যাহ্নের পরে
কতদিন তোমার খোপায় গোলাপ দেই না প্রিয়তমা?
কতদিন আমার বাগানে ফোটে না ক্রিসেনথিমাম?
আর, কতদিন ছুঁয়ে দেখি না
তোমার চিবুক, ওষ্ঠ, ললাট?
মনে পড়ে?
এইসব স্মৃতি বারান্দার গ্রিলে ঝুলিয়ে রেখে
কাল প্রত্যুষে আমাকেও চলে যেতে হবে
তুমি বেঁচে থাকলে আমার বারান্দায় লাগানো
বাতাবি লেবুর থোকায়।
একদিন সময় করে বেড়াতে এসো
তখন গোলাপের গাছগুলোর আর পুরুষ থাকবে না
আমি যে দোল চেয়ারে বসে নিকোটিন ওড়াতাম আকাশে
তুমি সেই চেয়ারে একবার হেলান দিয়ে বোসো
আমার মৃত্যুর ওপারে তোমার শরীরের ঘ্রাণ
আমার কাছে পৌঁছে দিও
আমি কাল ঠিকই মরে যেতে পারি,
আমার এই অসম মৃত্যুর অনুশোচনায়
ঘুমন্ত ঈশ্বর হয়তো জেগে উঠে
তোমাকে বাঁচিয়ে দিতে পারেন।
শুধু, আমার মৃত্যুর আগে তোমার পায়ের পাতায়
আলতা পরিয়ে দিয়ে যেতে পারলাম না, প্রিয়তমা