• Uncategorized
  • 0

খবর আছে-তে অমর্ত্য বিশ্বাস

বনগাঁর জমাটিয়া শারদউৎসব

অমর্ত্য বিশ্বাস, বনগাঁ : বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব শারদীয়াকে কেন্দ্র করে রাজ্য সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে সাজগোজ ও তোড়জোড় । মায়ের বন্দনায় পাঁচটি দিন বাঙালি মেতে থাকে আলাদা আমেজে । সারাদেশে বৃহত্তম দুর্গোৎসব হিসাবে রাজ্যের কলকাতা শহরতলির পাশাপাশি মফরসল বনগাঁর পুজোর ধারা বয়ে চলেছে বহুকাল ধরে । শত বছরের ঐতিহ্য বহনকারী বনগাঁর প্রতিটি ক্লাব তাদের কর্মদক্ষতা ও শিল্প নৈপুণ্যে ভরিয়ে তোলে মন্ডপ । শিল্পীর মায়াবী হাতের ছোঁয়া ও ভালবাসার নিটোল বন্ধনে মণ্ডপ গুলি সজ্জিত হয় দেবী আরাধনায় । বনগাঁর এক-একটি ক্লাব প্রায় পঞ্চাশ বছরের ঐতিহ্য বহন করে আসছে আর সেই ঐতিহ্য ইতিহাসের সাক্ষী থাকতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ভিড় জমায় বনগাঁর পুজো দেখতে । বীরভূম, বাঁকুড়া, বর্ধমান ,মেদিনীপুর ,কলকাতা ,মুর্শিদাবাদ বিভিন্ন জেলা থেকে কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় জমায় বনগাঁর পূজামণ্ডপগুলোতে । এবছর বনগাঁর পূজো দেখতে লক্ষাধিক মানুষ প্রতিদিন পায়ে হেঁটে  মন্ডপগুলির শোভা উপভোগ করে । আন্দামানের জারোয়া উপজাতি থেকে শুরু করে মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহো মন্দির সহ শিশুশ্রম ও মা তুমি কার এই থিমের উপর ভিত্তি করে সজ্জিত হয়েছে বনগাঁর বিভিন্ন মন্ডপ । একই সাবেকিয়ানার ধাঁচ বজায় রেখে মায়াজালে আবদ্ধ হয়েছে কিছু মন্ডপ । পদ্মাবত সিনেমাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বনগাঁর আরেকটি পূজা মন্ডপ । মতিগঞ্জ ঐক্য সম্মিলনী , ১২-র পল্লী স্পোর্টিং ক্লাব, এগিয়ে চলো সংঘ, প্রতাপগড় স্পোটিং ক্লাব ,আয়রন গেট স্পোর্টিং ক্লাব ,জিবিএস ক্লাব সহ বনগাঁর বিভিন্ন ক্লাবগুলি তাদের ইতিহাসের কথা ফুটিয়ে তুলেছে মন্ডবে আর সে সব মিলিয়ে পঞ্চমী থেকে দশমী পর্যন্ত বনগাঁয় মানুষের ভিড় ছিল দেখবার মতো । এরই সাথে বনগাঁ মতিগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাব ঘরোয়া এবং আদি পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম থেকে আজও বনেদিআনা বজায় রেখেছে। পাশাপাশি বনগাঁর বিখ্যাত কাঁচাগোল্লা খেতেও মানুষ ভিড় জমায় মিষ্টির দোকানগুলোতে । সব মিলিয়ে ২০১৯-এর বনগাঁর পুজো দর্শনার্থীদের মনো ও আবেগ দুটোকেই কেড়েছে আপন খেয়ালে ।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।