কবিতায় স্বর্ণযুগে আমিনুল ইসলাম (গুচ্ছ কবিতা)

১মুঠো নিমপাতা চেবানোর পর…

১।

আঠা লেগে আছে মনের ভিতর
নরম ভেলভেটের অভিনন্দনে
ছায়া খুলে যায় মৃতসঞ্জিবনীর
কালো চুলের সূক্ষ্ম জরি
নক্সায় উপুর হয় বাসনা!
কলস উল্টে গেলেই মধুবনে মৌমাছি
মর্মাহত বাতাসের কানে চুম্বক!
ঘৃণা থেকে সহবাসে পুঁই লতির জন্মকাল
আশরফি পেয়ালায় মকর রাশির যৌগিক
কন্ঠস্বরে নৌকো বেয়ে চলেছে!
অনেকটা আঠালো জিভে বন্দর থেকে
কুড়িয়ে আনা শুকনো মাছ
মনের অলিগলি ঘুরে এ তল্লাট
শুধু জাফরান ছড়ায়…
আকাঙ্ক্ষারা বাঁচে মৃত শামুকের পেটে…

২।

সাবানের সুগন্ধে যে নাক শুঁকে নিচ্ছিল লিঙ্গের বৈষম্য
সেটি যে চতুস্পদের এটি জানতে সাবান বিক্রেতার
মুঠোফোন নাম্বার ডায়াল করুন
আমাদের বসবাস মশা মারতে কামানের অনুকূলেই…
প্রতিটি কলার টিউন পুরুষানুকূল্যেই বাজে
গ্রাভিটির ভেতর কানের কুপমণ্ডুকতার মতোই
চোখের জালিয়াতি!
চেনা সুগন্ধির পাশে মা’কে মনে পরে
আর বউ বাচ্ছার কথায় আমি মালি হয়ে যায়
সাজানো উদ্যানে বড়ো হয় অনেক অঙ্কুর
প্রজাপতি আসে মধু জমে কানায় কানায়…

৩।

১টা চালের ভিতর সুপ্ত ছিল বারুদের জ্বলে ওঠা
অথবা বরফ হয়ে জমে থাকার মলম
আমি জলের মতোই ধারণ করি আকার
নিরাকার ঈশ্বর ১ ও অদ্বিতীয়
বিকল্প ভাবনার চাষযোগ্য কিঞ্চিৎ জমি
উর্বর কথার জানালায় কিছু ঘাসফড়িং
আনমনা…
তোমার বয়ে চলা দেখে-
নদীর অলসতাহীন অবয়ব!
চাল ফুটলে ভাতের নাকে ফিরে আসে প্রাণ
ব্যথার ফুটন্ত ফুলে কাঁটা হয়ে জেগে থাকে নীল চোখ
অপরাজিতার আলো ডুবে যাচ্ছিল যখন-
বারুদের বুকে আবার…
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।