কাব্যক্রমে শিপ্রা দে

১| ও’কোকিলা

ও’কোকিলা তুই ডাকিস কেন কুহু কুহু স্বরে
মিষ্টি সুরে গান গেয়ে যাস মন টেকে না ঘরে।
অহংকার তোর অনেক খানি কণ্ঠে পেয়ে সুর
তাই বুঝি তুই ডেকে ডেকে পালিয়ে যাস দূর!
নেই তোর কোনো ঠিক-ঠিকানা,পরের ঘরে বাস
সুরের জোরে বন্ধু করিস নেই যে তোর কেউ খাস!
একটা দুটো প্রেমিক বুঝি তোর ডাকেতে পাগল
বদলে যাওয়ার ঋতুর সাথে খুলে দিস তোর আগল!
কাকের বাসায় ডিম পেড়ে তুই থাকিস মহা সুখে
তোর চালাকি বোঝে না সে ডিম রাখে তাঁর বুকে।
সময় হলেই ছানা গুলো নিয়ে যাস তোর কাছে
যদি সে আবার বড়ো করার দাবী করে পাছে!
তোর ওপরে ভরসা করা মূর্খামি ঠিক জানিস
আজকে আমি কালকে অন্য বন্ধু বলে মানিস।
কারো কাজে লাগিস না তুই মন ভোলাস তুই ছলে
চিনতে পারলে তোর চাতুরি চোখ ভরে যায় জলে।
সুর,কথা তোর পাল্টে যায় রে নতুন সুজন পেলে
ঋতুর মতো রঙ বদলিয়ে উড়িস ডানা মেলে।
তোর মনেতে জায়গা নিলে কাল যে যাবি ছাড়ি
সুসময়ের বন্ধুকে তুই দুঃসময় দিস আড়ি!
তাই বলি গো ও কোকিলা ডাকিস না আর জোরে
আর্তনাদ আজ বুকে কেন! কেউ নেই বুঝি ওরে।
বসন্ত দূত তোকে নিয়ে কতো কবিতা লেখা
আমার কিন্তু তোর কাছেতেই অনেক কিছু শেখা।

২| ব্যবধান

তুমি যখন ব্যস্ত খুব ঝড়ের প্রাক্কালে
ঝড়ের ছবি খুঁজে নিচ্ছ পোস্টাবে সকালে।
আমি তখন পুঁটলি বেঁধে হচ্ছি ঘর ছাড়া
নয়তো আমি ঝড়ের মুখে পড়ব ঠিক মারা।
পরের দিন সকাল বেলা ছাদের পরে বেঁকে
বেশ কয়টা ফটো তুললে মোবাইলটা রেখে।
আমি তখন গাঁয়ের স্কুলে একটা খালি ঘরে
শুনছি নাকি ঘরের চাল উড়ে গিয়েছে ঝড়ে।
বিজলী গেছে কাল রাতেই এখনো আসে নাই
নেট গিয়েছে তোমার নাকি মন খারাপ তাই !
আমি ভাবছি ঘরের চাল লাগাবো কতো দিনে
বাবা মায়ের মুখে দুগ্রাস দেবো কিভাবে কিনে?
এমনি করে নিত্য দিন লড়াই পথ চলা
তুমি তখন পুরো করছ শখের ষোলো কলা।
তুমি আমির মধ্যে আছে ভীষণ ব্যবধান
কোন দিনও হবে কি আর পূর্ণ সমাধান।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।