• Uncategorized
  • 0

কবিতায় স্বর্ণযুগে তানিয়া ব্যানার্জী (গুচ্ছ)

১| একপর্ণি

যেতে তো পারিই!কিন্তু কিভাবে যাই!
তুমি যে জিইয়ে রেখেছো ছাই,
ওরা উত্তুরে হাওয়ার স্পর্ধায় লালচে হয়
আগুন মুখোশ পড়বে বলে।
আমি ফু দিয়ে দেখেছি, তাতে হাওয়া এবং ছাই
উভয়েই আরও হাল্কা হয়ে অবাধে ওড়ে আকাশ ময়।

এযাবৎ আমার ঘরেও জোৎস্না নামে তীর বরগা বেয়ে,
আমি কুঠুরির কোণে ঘটিভরা জমাজলে নৌকা ভাসাই রাত ভর। যে কুঠুরির নাম রেখেছে ওরা মন খারাপ।

যেতে চাইই তো, কিন্তু কিভাবে যাই বলো-
তোমরা ইন্টারভ্যালে পপকর্ন বিলাসী,
আর আমি ফাঁকা সিটে জায়গা রাখতে চেয়েছি আজীবন..

২| স্নান

এখনো একপা চৌকাঠের ভেতরে..
তুমি উত্তর দাওনি বলে আমি প্রকাশ্য রাজপথের ছবি আঁকি কবিতার গায়ে,
এখনো একহাত দূর থেকেই বাঁ হাতে সরিয়ে নিচ্ছি ধুলো ঝড়।
এখনো একপা চৌকাঠের ভেতরে..
তুমি উত্তর দাওনি বলে আমি এখনো আনকোরা প্রশ্নপত্রের বুক নীল কালিদাগে চিহ্নিত করে বাতিল করিনি ওদের।
এখনো একপা চৌকাঠের ভেতরে..
তুমি উত্তর দাওনি বলে আমি কাকস্নান সারি নদীর পাশে বসে, অথচ আমার হাতে ধরা ল্যাভেন্ডার সাবান, কোলোন, তোমার দেওয়া পলাশরঙা শাড়ি।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।