• Uncategorized
  • 0

ধারাবাহিক ভুতুড়ে গল্পে আরিফা খাতুন (অন্তিম পর্ব)

অদৃশ্য ফোন কল

বিজয়ের শরীর আস্তে আস্তে খারাপ হতে লাগলো , মিম সেখান থেকে চলে যায় । অনেক রাতে নার্স এসে বিজয়কে দেখলো তখন বিজয় ঘুমিয়ে আছে দূর থেকে দেখে চলে গেলো নার্সও! কেউ জানতেও পারলো না বিজয়ের হার্টফেল হয়েছে। ওই রাতে বিজয়ের হস্টেলের ভিতর থেকে তীব্র কান্নার আওয়াজের শব্দে হস্টেলের আসে পাশে থাকা বাড়িগুলোও যেন কম্পিত হচ্ছে , সেই বাড়ির মানুষজনদের ঘুম ও ভেঙ্গে যায় কিন্তুু তারা নিজেরা ভয়ে জর্জরিত তাদের কারোর হস্টেলের ঘটনা অজানা ছিল না । পরের দিন সকালে আশেপাশের লোকজন থানায় চলে যায়, তারা অভিযোগ জানায় হস্টেলের এই সব ঘটনার জন্যে তারা সবসময় ভয়ে ভয়ে থাকে আপনারা কিছু ব্যবস্থা নিন । তাদের কথা শুনে পাশ থেকে এক পুলিশ কনস্টেবল বলে উঠলো “পুলিশে কাজ হলো চোর ডাকাত ধরা ভূত ধরতে যাবে কি করে”!
অন্য দু চারজন পুলিশ ও হেসে উঠলো তার কথা শুনে । কিন্তুু ব্যাপারটা যে খুব একটা হেলাফেলার নয় তা বিলক্ষণ বুঝতে পারছে থানার বড়োবাবু । বিজয়কে মারার অপরাধীদের মৃত্যুর কারণের তো কুলকিনারা তিনি করতে পারলেনা , তাও তিনি তাদের আশ্বাস দিলেন কিছু একটা ব্যবস্থা নেবেন । সেখান থেকে ফিরে এসে যে যার মতো ভূত তাড়ানোর ব্যবস্থা করতে লাগলো। কেউ যাগযজ্ঞে, পূজাতে, কেউ বা মাদুলি তাবিজ ফুঁকফাঁক দিতে ব্যস্ত হলো। নার্স বিজয়ের রুমে গেলো
বিজয়কে খাবার দিতে, বিজয়কে অনেক ডাকার পরেও বিজয় সাড়া দিচ্ছে না । নার্স বিজয়ের গায়ে হাত দিয়ে দেখে ওমা ! এ কি অবস্থা!! বিজয়ের শরীর যে ঠান্ডা , নার্স ডাক্তারকে ডেকে আনলো । ডাক্তার দেখে তো অবাক কাল যে ছেলেটাকে সম্পূর্ণ সুস্থ দেখলো আজ সে মারা গেলো কি ভাবে । বিজয়ের মাকে খবর দেওয়া হয় , বিজয়ের মা কেঁদে কেঁদে ছেলের লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরে যায় । বিজয়ের হস্টেল এখন শুনসান; কেউ থাকে না আর বাইরে থেকে লক করা অবস্থা । এ ভাবে কেটে যায় ২০টি বছর সেই হস্টেল আজ প্রায় পোড়ো বাড়িতে পরিণত হয়েছে কেউ যায়না সেখানে কিন্তুু গভীর রাতে আজ ও মাঝে মাঝে ফোনের রিং টোনের আওয়াজ ভেসে উঠে!

সমাপ্ত

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।