• Uncategorized
  • 0

কাব্যক্রমে অনুপ কুমার দাস

১| বর্ণালী

শত আবেগের মাঝে বেঁচে থাকা নাম বর্ণালী
সাড়া জাগানো মেয়েটি আজ চলে গেল।
নীল সীমা পারে ওর বিদেহী আত্মা ডুকরে কাঁদবে।
অসম্ভব শ্রদ্ধা বোধ ছিল ,কিন্তু ছিলনা অনুশাসন!
বিশ্বাসের আকর ছিলো ওর প্রেরণার উৎস
জীবনের মূল্য ও বুঝতে না পারার ব্যর্থতা।
উচিত অনুচিত মাঝে নিজেকে অসহায় ভেবে,
ওর এভাবে চলে যাওয়া নিশ্চয় ঠিক নয়।
জীবনের বৃত্ত অনেক বড়ো,চিন্তার পরিধি কম।
তিল তিল করে গড়ে তোলা স্বাভিমান ,
এতো ঠুনকো হবে সামান্য সংকেতে।
অসহায়তা কেবল নিয়তির খেলা নয়
বরং নিজের অস্তিত্ব কে বিকাশ করা।
বর্ণালী বুঝতে পারলোন!
আগামীর স্বপ্ন গুলো লালিত হলো
ওর ঐ নিথর দেহের চারিভিতে।
সন্ধ্যার অবকাশে অত্যুৎসাহী মেয়েটি আর ,,,,,,,,,
কখনো কি ফিরে আমাদের চর্চাতে।
আর নয় হতাশা এবার আসুক ফিরে আত্মবিশ্বাস

২| গোধূলির রশ্মি

দিগন্তের শেষ শিখায়
প্রলয়ের ঠিক আগে
মুহূর্তে বেঁচে ওঠার আগেই এই পৃথিবী হারাবে তার রঙ।
নিমিষে উলট পালট হবে তোমার আঙিনা।
তথাগত তার অস্তরাগের ছোঁয়া দিয়ে যাবে গোধূলি ক্ষণে।
নীলিমায় মসিলিপি তার রংতুলির টান থামাবে,
তোমার বিরামহীন পথে ঝাপসা আলোর রেখা,
হারানোর বেদনা বড়ো জোর তোমাকে টলাবে।
ধূলিময় পথে গোধূলির রশ্মি নির্গত হবে অহরহ।
এসো হে সভ্যতা ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে।
জীর্ণ শীর্ণ এই মহামারীর দেশে।
নয়তো এলো দেরিকরে ,
হোক না তোমার বিলম্ব ;
অমরত্বের নাই বা থাকুক প্রতীক্ষা।
মুমুর্ষ আর অসহায়তা বহু দূরে যাক ।
এই হোক গোধূলির আমন্ত্রণ।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।