আমি তো দেখিনি কে কোথায় ফোটে,
শাল পলাশের বনে !
আমি তো বুঝিনি কতটুকু জল ,
শেষ মেঘটির কোণে !
আমি তো শুনিনি বিষণ্ণতায় ,
ভেসে যাওয়া দিন কাঁদে ;
এখনও আকাশ চুপি চুপি নামে ,
রবিঠাকুরের ছাদে !
সেদিন বাবার ফিরতে রাত হচ্ছে দেখে মা ঘরবার করছিল।মা’র নিজের শরীর খুব একটা ভালো নয়। মাথা ঘোরে। আরও নানা সমস্যা রয়েছে। কিছুতেই আমাদের তা জানাবে না।বাবা এলে বলবে । সব শুনে বাবা তার উত্তরে বলবে — ওগো শুনছো , বিলম্বের আর দেরি নেই।শুনে আমরা দুই ভাই বোন হ্যা হ্যা করে হাসবো (রবিবার হলে তিনজন) ; আর মা , চিবুকের একটা অদ্ভুত সুন্দর ভঙ্গিমা করে বাবার সামনে থেকে উঠে চলে যাবে। বাবা কিন্তু পরদিনই পাড়ার বণিক ডাক্তারকে কল দেবে । বণিক ডাক্তারকাকু গম্ভীর মুখে বলবেন — চিন্তার কিছু নেই । আসলে অনেক ওষুধ খেতে হয়তো ওনাকে , তার একটা ধকল আছে । ওষুধ লিখে দিলাম , সব ঠিক হয়ে যাবে। ব্যস ! মা’ও ঠান্ডা বাবাও ঠান্ডা। তার মানে আমরাও বুঝে নিলাম যে , বিলম্বের এখনো যথেষ্ট দেরি আছে।
শুক্রবারে আকাশবাণীর রাত আটটার নাটক পেরিয়ে, এখন পাড়া থমথমে সাড়ে দশটা। এখনো বাবার জুতোর আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না । আমি চোখের সামনে জুলে ভার্নের আশি দিনে পৃথিবী খুলে রেখে, একমনে ভাবছি, আজ– তাহার নামটি রঞ্জনা রেডিও নাটকে শম্ভু মিত্র তৃপ্তি মিত্রের চোখে জল আনা অভিনয়ের কথা । দিদির সামনে হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষা, কিন্তু মন বসাতে পারছেনা দাদার খুনসুটিতে । মা বাইরের বারান্দায় বাবার পথ চেয়ে ঠায় বসে আছে । তার ওগো শুনছো না ফেরা পর্যন্ত ওখান থেকে উঠবে না । দাদার ওসব দিকে ভ্রুক্ষেপ নেই । ও দিদিকে আর আমাকে প্রাণপনে বোঝাচ্ছে– পৃথিবীর নবম আশ্চর্য কী বলতো ? আমরা তো ব্যাবিলনের শূন্য উদ্যান থেকে তাজমহল পর্যন্ত গড়াগড়ি খাচ্ছি , কিন্তু পৃথিবীর এই নতুন আশ্চর্যটাকে কিছুতেই খুঁজে পাচ্ছি না।দাদা তখন দরজার সামনে পাতা সাতরঙা পাপোষটাকে চিমটের মতো হাত দিয়ে তুলে এনে বললো — দ্যাখ , এইটা হচ্ছে পৃথিবীর নবম আশ্চর্য ! দিদি আর আমি একসঙ্গে আর্তনাদ করে উঠে বললাম — কেন ? দাদা আমাদের হাত তুলে আশ্বস্ত করলো — শোন মন দিয়ে, যা বলি–আমি অনেক গবেষণা করে দেখেছি যে , পাপোষ পৃথিবীর এক আশ্চর্যতম বস্তু ! বলে নিজেই উত্তর দিলো — কেন জানিস ?
তুই একটা পাপোষকে সারাজীবন ঝেড়ে যা , তার থেকে ধুলো বেরোতেই থাকবে , বেরোতেই থাকবে।ডাস্টলেস পাপোষ আর অমাবস্যায় পূর্ণ চাঁদ দুটোই, ঝন্টু মহারাজের ভাষায় আনইমপসিবল !
আমাদের লুটিয়ে পড়া হাসির শব্দকে ছাপিয়ে , বারান্দা থেকে মায়ের গলার আওয়াজ পেলাম– আসছে,আসছে….
মচমচ জুতোর আওয়াজ পাচ্ছি ।
বাবা বাড়িতে ঢুকে একটাও কথা না বলে , প্রথম দশ মিনিট এমন ভাব করলো , যেন রাজ্য জয় করে এসেছে।ইতিমধ্যে দিদি পাঁচটা পিঁড়ি পেতে ফেলেছে । আমি গেলাসে গেলাসে জল ঢেলে, নিজের ছোটো পিঁড়িটাতে মুকুটহীন সম্রাটের মতো বসে পড়েছি । মা খাবার বেড়ে রেডি । দাদা যথারীতি পিথাগোরাস , আর্যভট্টের মতো মুখ করে মেঝেতে ডানহাতের তর্জনী দিয়ে অঙ্ক কষে যাচ্ছে । এমন সময় , আমাদের বাবা , সম্রাট শচীন্দ্র কুমার বসু তার জন্য নির্দিষ্ট বিশাল কাঁঠাল কাঠের পিঁড়িতে স্থিতধী হলেন । তারপর দেবাদিদেব মহাদেবের মতো মার দিকে অর্ধ নিমীলিত চোখে বললো — ওগো শুনছো , তোমার ছোটো বোন দীপার বিয়ে ঠিক করে এলাম ।আমাদের সমবেত — অ্যাঁ শুনে , বুড়িদের বাড়ির নিমগাছ থেকে চারটে কাক নীড়হারা হয়ে কা কা শব্দ করে ঘুরতে লাগলো। মা সবিস্ময়ে জিজ্ঞেস করলো , সে কি ? কোথায় বিয়ে ঠিক হলো দীপার ? বাবা চরম নাটকীয় ভঙ্গিতে বললো — ধীরে , রজনী ধীরে । আজ বিকেল তিনটের সময় , তোমার বড়ো ভাই খোকন এসে আমাকে চেতলায় টেনে নিয়ে গেলো। মা উত্তেজনায় ফেটে পড়ে বললো — আরে দূর বাবা , সে সব তো বুঝতে পারছি , কোথায় বিয়ে ঠিক হলো সেটা বলো ? বাবা এবার মোক্ষম জবাবটা ছাড়লো — বিখ্যাত অভিনেতা অহিন্দ্র চৌধুরীর ততোধিক বিখ্যাত নাটকের ডায়ালগ থেকে — দূরে ,বহু দূরে …(এবার গলাটা নামিয়ে প্রায় ফিসফিস করে ) ওই পাশের ঘরে…
মা হঠাৎ হাতাটাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে সত্যি সত্যিই বাবার ওপরে ক্ষেপে গেলো– সব ব্যাপারে তোমার চ্যাঙড়ামি? পাড়ার প্রদীপের সাথেই কি ? শেষ পর্যন্ত পাড়াতেই ? ইস্ ,কী কেলেঙ্কারি ! বাবা এবার সিরিয়াস হয়ে বললো — দীপার বয়স এখন চব্বিশ । ও যদি ভেবে থাকে কাউকে ভালোবেসে বিয়ে করবে , আমরা কি বাধা দিতে পারি ? তাছাড়া , পাড়া কি বেপাড়া, সেই অঙ্ক কষে কেউ কি প্রেমে পড়ে ? মা গুম হয়ে বসে আছে বলে , বাবা সান্ত্বনার ভঙ্গিতে বললো– শোনো,ওরা তোমাদের দীর্ঘদিনের প্রতিবেশী।ভালোই তো হলো । দীপা তোমাদের কাছাকাছিই থাকবে । বাপের বাড়ি গেলেই তো দেখা হবে।সবাই চুপ ! আচ্ছা, দাদাকে ঠিক সেই সময়েই ফুট কাটতে কে বললো ? আর আমাকেই বা নকল করতে কেন গেলো দাদা ? মাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য বলে উঠলো — শোনো জননী , মঙ্গল যা করেন , ভগবানের জন্যেই করেন। যাক আমার ফাইনাল পরীক্ষা হয়ে গেছে । চুটিয়ে আনন্দ করবো । মা চিৎকার করে বলে উঠলো — এক থাপ্পড় মারবো বিলু । বড়োদের কথায় তোকে ফুট কাটতে কে বলেছে ? আমি মরছি নিজের জ্বালায় , আর তোদের মোচ্ছব লেগেছে ? দীপাটা ভালো করে পড়াশোনাটাও শেষ করলো না ! অন্তত গ্র্যাজুয়েট হবে আমি আশা করেছিলাম । না শিখলো গান , না অন্য কিছু । শুধু রূপ ধুয়ে কি জল খাবে ? কি রে ঝন্টু , তুই খাবার নিয়ে বসে আছিস কেন ? আমি কি রাত বারোটা পর্যন্ত এ়ঁটো নিয়ে বসে থাকবো ? দাদা, মা’র এই ঝাড় খেয়ে একেবারে চুপ ! কিন্তু নীরবে মাথা নীচু করেও থালায় অঙ্ক কষে যাচ্ছে ।শেষ পর্যন্ত বাবা খুব নরম গলায় , তার ওগো শুনছোকে ঠান্ডা করলো এই বলে — অঘ্রাণের প্রথম বিয়ের দিনেই বিয়েটা ঠিক হলো । শিখার পরীক্ষার কথা মাথাতে ছিলো আমার । কিন্তু করার তো কিছু নেই । আর ছেলেটির সঙ্গে কথা বলে তো আমার খুব ভালো লাগলো । শান্ত সুভদ্র , বেঙ্গল গভর্নমেন্ট প্রেসে স্থায়ী সরকারি চাকরি করে । আর কি চাই ? দিদির সঙ্গে বোধহয় প্রদীপদার আগেই আলাপ ছিলো । এতক্ষণে বেশ একটা বিজ্ঞ বিজ্ঞ কমেন্ট দিলো — প্রদীপদার , থুড়ি ছোটো মেসোর চেহারা , মুখশ্রী খুব সুন্দর , কিন্তু বড্ড কালো । এ যেন ধবধবে স্পঞ্জ রসগোল্লার সঙ্গে কালোজামের বিয়ে হচ্ছে । মা আবার ক্ষেপে গিয়ে বললো — গায়ের রঙ নিয়ে কে তোকে মাথা ঘামাতে বলেছে শিখা ? আমার রঙ তো ফর্সা , তোর বাবা তো কালো; তাতে কী হয়েছে ? আমার প্রতিবাদ পাড়ায় বিয়ে করছে বলে।দীপা অত সুন্দর দেখতে।আরো ভালো পাত্র তো ওর জুটতো । বলেই হঠাৎ গাম্ভীর্য ঝেড়ে ফেলে হেসে বললো — যাক , তুমি বিয়ের দিনটা পর্যন্ত ঠিক করে এসেছো , তার জন্য ধন্যবাদ । বাবা এবার নিশ্চিন্ত হয়ে আস্ত হাঁসের ডিমের অর্ধেকটা মুখের মধ্যে চালান করে দিতে দিতে , গলায় যেন এক শিশি মধু ঢেলে বললো — ওগো শুনছো , যতক্ষণ তোমার এই মহান স্বামী আছে ,ততক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের …. আমি আর চুপ করে থাকতে পারলাম না ; টিপিক্যাল ফোক্কড়ের মতো ফুট কাটলাম– ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কোনো ভয়ও, নেই ভরসাও নেই ।এবার সমবেত হাসিতে দাদাও যোগ দিলো ।
আমার আবার ডিম খাওয়ার একটা নিজস্ব পদ্ধতি আছে । ভাতের সাথে আলু আর ডিমের সাদা অংশটা খেয়ে নিয়ে , মার দিকে জুলজুল করে তাকাই , আর মা সঙ্গে সঙ্গে এক হাতা ঝোল আমার ডিমের কুসুমের বাটিতে ঢেলে দেয় । আমি থালা চেটেপুটে খাওয়ার পর , হাঁসের ডিমের লাল টুকটুকে কুসুমটা ওই টম্যাটো , গরম মশলার গন্ধ মাখা ঘন ঝোলের মধ্যে একটু একটু করে ভাঙি , আর ডুবিয়ে ডুবিয়ে খাই । ওহ ! সে রাতে ডিমের কারিটা যা জমে গেল না ! একেবারে একশোর মধ্যে একশো দশ !
বিয়ের ঠিক দুদিন আগে , চেতলার বাড়িতে বডি ফেলে দিলাম আমরা সবাই । মাসি ছন্দারাও এসে যাওয়াতে ছোটোমাসির বিয়ের আনন্দ একেবারে জমে ক্ষীর।আমার আনন্দ আর একটু বেশি এই কারণে যে , মামার বাড়ির পাড়ায় আমাদের ভাবী ছোটোমেসো, মানে হ্যান্ডসাম প্রদীপদার ছোটো ভাই , আমার থেকে তিন বছরের বড়ো বাবলা , চেতলায় আমার লোকাল গার্জিয়ান, আর সাক্ষাৎ হিরো। যেমন ফুটবল খেলে তেমনি পায়রা ওড়ায় । তবে, মাঝে মাঝে গলিতে গলিতে, পাড়ার ছোটোদের সাথে একটু নরম নরম দাদাগিরিও করে ফেলে। মামার বাড়ি গিয়ে শুনলাম , ছোটোমাসির বিয়েটা নিয়ে বিস্তর ঝামেলি আর ঝটাপটি হবার পরে , বাবার উপস্থিতিতে সবকিছু মিটমাট হয়। আমার পাঁচ মামার মধ্যে সবথেকে আবেগপ্রবণ ও উত্তমকুমারভক্ত সেজোমামা নাকি , ছবিদার (ছোটোমেসোর ডাকনাম ) বাড়ি গিয়ে কলার পর্যন্ত চেপে ধরেছিল । কিন্তু ছোটোমেসোর বড়দা খোকনদা আর বাবা যামিনীরঞ্জনবাবু সে যাত্রায় সেজোমামাকে বুঝিয়ে সুজিয়ে ঠান্ডা করে । মণিমামা ও ছোটোমামা মিলে, মেজমামার নেতৃত্বে সেজোমামাকে টানতে টানতে বাড়িতে নিয়ে চলে আসে । আমি আর দিদি জানি, সেজমামার রেগে আগুন হবার পেছনে একটা ছোট্টো কেমিস্ট্রি আছে । আসলে ছোটোমাসি সেজদা বলতে অজ্ঞান । এদিক ওদিকে ঘুরে বেড়ানোর যাবতীয় টাকা পয়সা ছোটোমাসিকে যোগান দিতো মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রাতে চাকরি করা আমাদের দরাজ দিল সেজোমামা। সেই সেজোমামা এই ছোটি সে মুলাকাৎ প্যায়ার বন গ্যয়ি ব্যাপারটা জানতো । কিন্তু সেই প্রেমটা যে বিয়ে পর্যন্ত গড়িয়ে যাবে , সহজ সরল সেজোমামা সেটা বুঝতে পারেনি । আমার বাবার উপস্থিতিতে যেদিন দুপক্ষের মধ্যে শান্তির পতাকা উড়লো , সেদিন সেজোমামাই সবার আগে ক্ষমা চেয়ে, ছবিদাকে বুকে জড়িয়ে ধরেছিলো। আর ছোটোমাসি নাকি শুধু ভেউ ভেউ করে কাঁদছিলো । ওরে পাগলা ,ওটা আনন্দাশ্রু আনন্দাশ্রু । বড় দাদাবাবুর ম্যাজিক উপস্থিতি এক নিমেষে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের ধুন্দুমার থেকে , অল কোয়াইট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট এ এনে ফেলেছিলো । আহা , দাদুভাই যদি বেঁচে থাকতো রে দিদি ! বহুদিন বাদে আবার মা’দের তিনবোনকে একসাথে পেয়ে মামার বাড়ির আলিশান উঠোনের ওপরে ঝুঁকে পড়া ফুলহীন কদম গাছটায় বসা ল্যাজ দোলানো পাখিরাও যেন বলে উঠলো (র়াঁধুনি নীলমণির মা’র গলায় ) — ও মলিনা,ও খুকু , ও মণি ,ও দুলাল — তোরা বালিকা বধূ সেনেমার ওই গানটা শোনাবি সবাই মিলে ? কয়েক বছর আগে চেতলার রূপায়ণে নীলমণির মাকে বালিকা বধূ দেখিয়েছিলো আমার মা। আর সেই থেকে নীলমণির মা গেয়েই চলেছে বাসভর্তি বরযাত্রীর সমবেত গলায় গাওয়া ডি এল রায়ের গান ( বাসের ভ্যাঁ-পো ভ্যাঁ- পো আওয়াজ সমেত ) , যা এখন আমরা সবাই মিলে গেয়ে উঠলাম– আজি এসেছি , আজি এসেছি ,এসেছি বঁধু হে , নিয়ে এই হাসি, রূপ, গান…… আজি আমার যা কিছু আছে, এনেছি তোমার কাছে , তোমায় করিতে সব দান….আজি এসেছি, আজি এসেছি…..
আচ্ছা দিদি , তুই আমার গা ছুঁয়ে বলতো , ছোটোমাসির বিয়েতে সবথেকে কোন পদটা খেয়ে , তুই আমি দুজনেই পাগল হয়ে গিয়েছিলাম ! বলতে পারলি না তো ! তবে শোন , বিয়ে আর বৌভাত , দুদিন দুপুর বেলায় বাড়ির লোকেদের পঙতি ভোজে গরম গরম বেগুনি , মুগের ডাল, আর আহা… তোর মাথা দিয়ে, মাছের তেল , লালকুমড়ো , পুঁইশাক দিয়ে যে ছ্যাঁচড়াটা হয়েছিলো , জীবনেও ভুলবোনা রে তার আস্বাদ ! দিদি, ওর ঘাড়ছাপানো কোঁকড়া চুল দুলিয়ে হেসে উঠতে গিয়েও খপ করে আমার কানটা চেপে ধরলো– ব্যাটা হনুমান ,ছ্যাঁচড়াটা আমার মাথা দিয়ে হয়েছিলো , না, কাতলা মাছের মাথা দিয়ে হয়েছিলো ? আমি রেগেমেগে বললাম — ওটা কথার কথা। যাহা বাহান্ন তাহাই পঁয়ষট্টি..,
কান ছাড় , লাগছে।