কাব্যক্রমে শিপ্রা দে
by
·
Published
· Updated
১| শুচিতায়
মোহময়ী বৈশাখী তৃতীয়ার বাঁকা চাঁদ
ডেকে বলে দ্যাখ ওরে রাত কতো সুন্দর
দখিনের বাতায়নে বাসন্তী নির্যাস
দ্বিধাহীন ভালোবাসা হয় তবু নার্ভাস।
সূর্যটা ম্রিয়মান ঘন কালো মেঘদলে
ঘুমন্ত শহরটা ফিসফিস যায় বলে
তুলসীর কারা খাও,নিতে হবে ভেপারটা
কর্পূর জোয়ানে’র মনে রেখো ব্যাপারটা।
ইচ্ছেরা ডানা মেলে দেওয়ালে ঠোক্কর
জুঁই চাঁপা বলে কানে নিস নারে টক্কর।
অনিচ্ছা খেতে গেলে,চুপচাপ পড়ে থাক
পাষাণের ইমারতে ইতিহাস এঁকে রাখ ।
ব্যালকনি থেকে দ্যাখ টগরের সমারোহ
তুলসীর গাছটায় জড়িয়ে’নে মায়া মোহ।
ডেটলের স্নান সেরে শুচিতায় ভরে ওঠ
রাত জাগা পাখিটার কেঁপে ওঠে ফাটা ঠোঁট।
৪| একটু খানি ছুঁয়ে
নীরব ঠোঁটে ছিল সেদিন জীবনের ইতিকথা
অপলক দৃষ্টিপাতে না বলা অনেক ব্যথা।
সন্ধ্যা তারা উঠেছিল পূবের নীল আকাশে
ভেবেছিলাম ছুঁয়ে দেবো রামধনুর পরশে।
স্পর্ধিত হলেও পড়ছিল পা একটা একটা করে
হঠাৎ কোথায় হারিয়ে গেলে কালবৈশাখীর ঝড়ে।
জানতে পারি জীবন তোমায় দিয়েছে অনেক ফাঁকি
ওপর তলার আপন মানুষ করেছে আঁকিবুকি।
অপেক্ষাতে অনেক বছর খুঁজছি এলোপাথাড়ি
পেলাম যখন ফুলের মালায় এলো শবের গাড়ি।
সিঁথিপথ উঠলো কেঁপে এলোকেশীর সাজে
শূন্য সিঁথি আজও ছিল দীর্ঘ পথের মাঝে।
তেমনই ছিলে আগের মতো স্তব্ধ নিশ্চল শুয়ে
শুধু একবার দেখবো খালি একটু খানি ছুঁয়ে।
হাতেই ছিল সিঁদূর কৌটো মুঠো ভরে তুলে
দিলাম ভরে তোমার হাতে এদিক ওদিক ভুলে।
তখনো তোমার চোখে ছিল একরাশ অভিমান
শূন্য পানে চেয়েছিলে নিস্পলক ম্রিয়মান।
ভরিয়ে দাও শূন্য সিঁথি রাঙিয়ে দাও একবার
এবার না হোক,আসবে ফিরে বলো আরেক বার।