• Uncategorized
  • 0

সাপ্তাহিক ধারাসম্পাতে মৃদুল শ্রীমানী (পর্ব – ১৫)

আমার কথা

৫৭
আধুনিক বাংলা গদ্য ও কবিতার কিছু মাত্র না জানলেও এই বাংলায় বাংলা পড়ানোর ক্লাস পেতে দেখেছি। নেহাত ক্রীড়া কোটায় ঢুকে পড়া কদর্য হস্তলিপি ও বানান না জানা শিক্ষক বাংলা পড়াচ্ছেন – এ আমি নিজের চোখে দেখেছি এ রাজ্যের একটি মহকুমা সদরে । এ গ্লানি ভুলতে পারি নি। কালে কালে হয় তো পিওন স্তরের মানুষকেও বাংলা পড়াতে দেওয়া হবে। মনে করো শেষের সেদিন কী ভয়ঙ্কর!

৫৮
নামে বলবো ভারতমাতা , বলে উঠবো বন্দে মাতরম
আর কাজের ক্ষেত্রে মেয়েদের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে না,
এর চাইতে বেশি দ্বিচারিতা আর কি হতে পারে?

৫৯
ভারতমাতা যে কেবলই হিমালয়ের দুর্গম নির্জনতায় বসিয়া বীণা বাজাইতেছেন, তাহা নহে, পল্লীগ্রামের পঙ্কশেষ পানা পুকুরের ধারে তিনি প্লীহা বিস্ফারিত ম্যালেরিয়া ক্লিষ্ট সন্তানকে কোলে লইয়া বসিয়া আছেন, ইহা দেখাই যথার্থ দেখা।
এমনই একটা কথা বলতে চেয়েছেন রবীন্দ্রনাথ।

৬০
সেই সব কবিদের ভারি মনে পড়ে – কবি কুমুদ রঞ্জন মল্লিক, কামিনী রায়, কবিশেখর কালিদাস রায়, কিরণধন মুখোপাধ্যায়, মানকুমারী বসু, গিরীন্দ্র মোহিনী দাসী, বন্দে আলি মিয়াঁ , জসিমুদ্দিন , অশোক বিজয় রাহা, প্রিয়ম্বদা দেবী … ইচ্ছে করে বাড়ির ছোটোদের কোলের কাছে টেনে নিয়ে ওঁদের কবিতা পড়ি ।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।