দি এডভেঞ্চার্স অফ পোলো এবং আরো কিছু গ্রাফিক নভেল নিয়ে আজ আলোচনা
হইচই-এর বিগত একটি সংখ্যায় আমি কমিক্স, কার্টুন আর চরিত্র, সেটিং ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। ছোটদের জন্য গ্রাফিক নোবেলের অবদানও কিন্তু অনস্বীকার্য। গ্রাফিক্স বইগুলি শিশু এবং যারা একটু বড় তাদের ক্ষেত্রে সাক্ষরতার দক্ষতা উন্নত করে এবং আঁকা, গ্রাফিক্স, লাইন, স্কেচিং এবং রঙের মাধ্যমে গল্পগুলিকে দারুণভাবে তুলে ধরে। ক্লাসের বাইরে এবং রুটিন, সিলেবাস বাদ দিয়েও গ্রাফিক নভেলগুলি বাচ্চাদের এক দারুণ মুক্তির উপায়। ‘দি এডভেঞ্চার্স অফ পোলো’, ‘এয়ারপ্লেন এডভেঞ্চার’,’ বেনি এন্ড পেনি ইন দ্য বিগ নো-নো’, ‘লিটল মাউস’, ‘লিউক অন দ্য লুজ’, ‘সিলি লিলি এন্ড ফোর সিসন্স’ এরকম বেশ কয়েকটি গ্রাফিক নভেল রয়েছে যেগুলো জন্তুজানোয়ার, ফুল, পাখি, পাতা, মজার মজার ঘটনা, ইতিহাস, গল্প, পরিবার ইত্যাদি দিয়ে সাজানো। কখনো একটি গোয়েন্দা গল্প তৈরী হয় মিউজিয়ামের ভিতরে, অথবা কখনো এক ছুটির দিনে, গল্পের চরিত্ররা লেকে ঘুরতে যায়, বোটিং করে, আনন্দ করে প্রচুর। এই মুহূর্তে, লিখতে গিয়ে আরেকটি বইয়ের কথা খুব মনে পড়ছে, মার্সিয়া উইলিয়ামসের লেখা ‘এনসিয়েন্ট ইজিপ্ট: টেলস অফ গডস এন্ড ফারাওস’। ইতিহাস, গ্রাফিক্স, আঁকার দক্ষতা এবং গল্পের বুনন- সব মিলিয়ে শিশু-কিশোর এবং সবার আর সবার ক্ষেত্রেও অত্যন্ত আকর্ষক একটি বই।
আরেকটি বই ‘ দ্য বক্সকার চিলড্রেন’- একজন মার্কিন স্কুলটিচার গার্ট্রুড চ্যান্ডলার ওয়ার্নারের লেখা। বক্সকার চিলড্রেন চারটি অনাথ শিশু হেনরি, জেসি, ভায়োলেট এবং বেনির গল্প বলে। তারা বনের একটি পরিত্যক্ত বক্সকারে নিজেদের জন্য একটি বাড়ি তৈরি করে। শেষ পর্যন্ত তারা তাদের দাদুর সাথে দেখা করে, যিনি ধনী ও দয়ালু মানুষ (যদিও শিশুরা তাকে প্রথমে নিষ্ঠুর বলে বিশ্বাস করেছিল)। বাচ্চারা দাদুর সাথে বেঁচে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়, যিনি প্রিয় বক্সারটিকে তার বাড়ির উঠোনে নিয়ে যান যাতে বাচ্চারা এটিকে প্লে হাউস হিসাবে ব্যবহার করতে পারে। ২০১৪ সালে দ্য বক্সকার চিলড্রেন চলচ্চিত্র হিসাবে অভিযোজিত হয়েছিল এবং সিকুয়্যেল উপন্যাস সারপ্রাইজ আইল্যান্ড ২০১৮ সালে একটি চলচ্চিত্র হিসাবে প্রকাশিত হয়েছিল।
আরো বেশ কিছু মজার মজার তথ্য আর ঘটনা নিয়ে আসছি সামনের শনিবার, হইচই করতে।
তোমরাও তোমাদের লেখা, আঁকা পাঠিয়ে দাও আমাদের হইচই-এর জন্য। মেইল করো: