উড়িয়ে দিলাম সব পাখিদের
উড়ান দিলাম ডানায় ,
চাঁদের মতো দুধের বাটি
ভরা কানায় কানায়।
রক্ত দিলাম মুমূর্ষু আর রক্তকরবীকে,
বারো মাসের তেরো পাবণ
লাগছে না আর ফিকে।
শাজাহান একদিন উড়ে চলে গেল । যেমনভাবে এসেছিল, ঠিক সেভাবেই। আমি জানতাম রে দিদি , ঠিক এমনটাই হবে , কারণ আমাদের বাবা কোনো পাখিকে খাঁচাবন্দী অবস্থায় দেখতে চায় না। একদিন সকাল সাড়ে ছ’টায় চায়ের আসরে , রেডিওতে সতীনাথ মুখার্জী কলকাতা-ক এর সঙ্গীতাঞ্জলিতে যখন গাইছেন , সেই অপূর্ব সুরের গান — যিনি মহারাজা , বিশ্ব যাঁর প্রজা….
সেই সময় বাবা তারে ঝোলানো খাঁচাটা পেড়ে এনে , আমাদের সবাইকে লালনের গানের কলি শোনালো । বাবার গলায় মোটেই সুর নেই, তবুও, অমন দশাশই মানুষটা যখন দুচোখ ভরা জল নিয়ে গান গাইবার ব্যর্থ চেষ্টা করছে , তখন আমাদের মা যেন লালন ফকির হয়ে গেয়ে উঠলো — মন তুই রইলি খাঁচার আশে…খাঁচা যে তৈরী কাঁচা বাঁশে …কোনদিন খাঁচা পড়বে খসে…লালন কেঁদে কয়…
বাবা নিঃশব্দে শাজাহানের খাঁচার দরজা খুলে দিলো । শাজাহান কিছুটা হকচকিয়ে গিয়ে খাঁচার খোলা দরজা দিয়ে বেরিয়ে এসে , আমার মুড়ি আর পাঁউরুটিতে ভাগ বসালো । তারপর সামনের দরজার দিকে এগিয়ে গেলো। আমি আর দিদি ঠোঁট কামড়ে কান্না চাপছি । সামনের নারকেল গাছের পাতার সবুজের সাথে মিশে , চার পাঁচটা টিয়া-চন্দনা শাজাহানকে পাখিদের নিজস্ব ভাষায় কী যেন ডাক পাঠালো ! শাজাহান তার ভারি হয়ে যাওয়া ডানাটা দুবার ঝাপটালো , কিন্তু আবার নিজের খাঁচার মধ্যেই ফিরে গেলো। দাঁড়ে গিয়ে আমাদের দিকে লাল চোখদুটো দিয়ে অদ্ভুত ভাবে দেখতে লাগলো। তারপর মাকে বললো — গান কর ,গান কর। একটা অদ্ভুত ব্যাপার , রেডিওতে গান হলে শাজাহান চুপ করে শোনে ; বিশেষ করে সকাল ছ’টা থেকে সাড়ে ছ’টায় যখন ভক্তিগীতি গেয়ে ওঠেন — পুরুষোত্তম দাস জালোটা ,পান্নালাল ভট্টাচার্য , শিপ্রা বসু , জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায় , অমল মুখোপাধ্যায় , উৎপলা সেন বা সতীনাথ মুখোপাধ্যায়; পাখিটা কী বোঝে কে জানে ! বাবা বললো — ওগো শুনছো ,শাজাহান তোমার গলায় গান শুনতে চাইছে।মা একমুঠো মুড়ি হাত বাড়িয়ে ঢুকিয়ে দিলো খাঁচার দরজা দিয়ে। শাজাহান পরম তৃপ্তিতে মায়ের কবজির ওপর বসে মুড়ি খেতে খেতে , রিনরিনে গলার গান শুনতে লাগলো — যিনি মহারাজা , বিশ্ব যাঁর প্রজা , জানো না রে মন, আমি পুত্র তাঁর , সামান্য তো নই , রাজপুত্র হই , পিতার ধনে আমার পূর্ণ অধিকার , যিনি মহারাজা….
পরদিন দুপুরে অনুরোধের আসরে , লতা মঙ্গেশকরের বোন উষা মঙ্গেশকর কী আশ্চর্য সুন্দর একটা গান শোনালেন ! আমরা সবাই মিলে নির্বাক হয়ে শুনলাম সেই গান — যা যা যা উড়ে , ও পাখি তোরে দিলাম ছেড়ে ,
গা,গা প্রাণ ভরে , রাখবো না খাঁচায় ধরে ,
চলে যা তুই বহুদূরে ,
ওঠ না গেয়ে নতুন সুরে —
নি সা গা মা পা…
যা যা যা উড়ে ,ও পাখি তোরে দিলাম ছেড়ে…
পরদিন সকাল বেলা , চায়ের আসরে আমাদের সবার কোলে একবার করে উঠে , আমার সঙ্গে ঝগড়া-ঝাঁটি মিটিয়ে , শাজাহান গুটি গুটি পায়ে দরজার দিকে এগিয়ে গেলো। তারপর একটু ভারি হয়ে যাওয়া ডানাদুটো ছটফট করতে করতে সুন্দর উড়ান দিলো নারকেল পাতার গভীরে। কী আশ্চর্য ! আমাদের বাড়ির ভাঙা দূরবীন দিয়েও একঝাঁক টিয়ার মধ্যে থেকে ওকে আর আলাদা করতে পারলাম
না।
শাহাজাহানের সঙ্গে আমাদের সেই শেষ দেখা।আমরা আবার ছ’জন থেকে,আগের মতো সেই পাঁচজন হয়ে গেলাম।
বারাসাত থেকে মাসি চিঠি লিখেছে–
বড়দি , সমু চলে যাওয়ার পর তোর সাথে আর দেখা হয়নি । আমাদের দু বোনেরই যা প্রাপ্য ছিলো না , সেই যন্ত্রণা পেতে হলো । শিখা ,ঝন্টু , বিলু ছন্দা প্রত্যেকের মনের ওপর ভীষণ চাপ পড়েছে।তোর ভগ্নিপতির মুখের দিকে তাকানো যায় না । চাকরির পরে নিজের হাতে বাগান পরিচর্যা করা , তবলার রেওয়াজে বসা , আর ক্যামেরা কাঁধে ছবি তুলে বেড়ানো সেই আমুদে মানুষটা , দেওয়ালে সমুর চন্দনের টিপ পরা ছবির দিকে তাকিয়ে শুধু নিঃশব্দে হাহাকার করে । ছন্দা একদম রেওয়াজ করে না । তুই , শিখা যদি এসে ছন্দাকে একটু বোঝাস , ভালো হয়। আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সঙ্গীত প্রতিভা ওর । মনে আছে , ওর ছোট্টোবেলায় চেতলার উঠোনের চৌবাচ্চায় স্নান করতে করতে গেয়ে উঠতো — শুধু কান পেতে শুনেছি আমি , মাধবীর কানে কানে কহিছে ভ্রমর , আমি তোমারই , আমি তোমারই….
আকাশের অস্তরাগে , আমারই স্বপ্ন জাগে , তাই কি হৃদয়ে দোলা লাগে দোলা লাগে…
তুই বল বড়দি , যখন ও আমার কাছে রেওয়াজটাও শুরু করেনি , তখনই কী অনায়াসে সন্ধ্যা মুখার্জীর মতো তারসপ্তকটা ছুঁয়ে ফেলতো । সমু চলে গিয়ে সব ধ্বংস করে দিয়ে গেলো । জানি , শিখার সামনের বছর হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষা । তোর অসুখে ওর অনেক দিন নষ্ট হয়ে গেছে ,পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে ।তবুও অবুঝের মতো বলছি , তুই এলে আমি আমার গানটাও আবার শুরু করতে পারবো।বড়দাদাবাবুও যেন কষ্ট করে আমাদের বাড়িতে , একটা দুটো দিন থেকে যান । এমন মানুষকে সামনাসামনি দেখলেও পুণ্য হয়। সামনে তো গ্রীষ্মের ছুটি , দাদাবাবু যেন তোর ভগ্নিপতিকে ফোন করে জানিয়ে দেয় আসার ব্যাপারটা । লোভ দেখাচ্ছি না , দুটো দারুণ রান্না তোকে শিখিয়ে দেবো । একফোঁটা জল না দিয়ে বরিশালি কায়দায় খাসির মাংস রান্না আর সরষে পোস্ত দিয়ে তেল-পটল । শিখা ঝন্টু বিলুকে আমার আদর দিস । ঝন্টুকে আদর করে সন্তান হারানোর দুঃখটা কিছুটা ভুলবো । অবশ্যই আসবি কিন্তু। বাগানে অনেক ফুল ফুটেছে । ভাড়াবাড়ির আমগাছ, ভগবান ভুতোবোম্বাই আমে ভরে দিয়েছে । তোরা এলে বাইরের বারান্দায় বসে ভোররাত পর্যন্ত লুডো খেলবো।
ইতি–
তোর খুকু
পুণশ্চ — মনে করে তোর গানের খাতা আর অ্যান্টনি ফিরিঙ্গির গানগুলো লেখা সিনেমার প্যামপ্লেটটা অবশ্যই নিয়ে আসিস।
মা নিজেও বোধহয় একটু কোথাও বেরোতে চাচ্ছিলো । মুখ ফুটে বাবার কাছে কোনোদিনও দিল্লি বা নিদেনপক্ষে ঘরের কাছে পুরীতে নিয়ে যাওয়ারও আবদার করেনি । কলকাতা থেকে বাবাদের যশোরের বাড়িতে বৌ হয়ে যাবার পরে ,ওখানকার সংসারের পাঠ চুকোতে হয়েছিলো , কারণটা সাতচল্লিশের দেশভাগ।তারপর , দক্ষিণ কলকাতার ভাড়াবাড়ি থেকে এই দক্ষিণেশ্বরের ভাড়া বাড়িতে এসে , থিতু হওয়া । বাবার কাছে একটাই মিনতি ছিল মায়ের — অন্য কোনো ভাড়াটিয়ার সঙ্গে যেন একই বাথরুম ব্যবহার করতে না হয় । আমাদের মধ্যবিত্ত বাবা , মায়ের সেই কথা রাখতে মাসমাইনের অনেকগুলো টাকা শুধু….
আমাদের মায়ের কাছে যশোরের বাড়ির স্মৃতি বলতে বনগাঁর ইছামতি নদীর ধারে , মতিগঞ্জে বড়ো পিসিমার চারবিঘা জমির বাগানসমেত আলিশান দোতলা বাড়িটাই ছিলো। আমরাও তিন ভাইবোন যেন ওখানে গিয়ে থাকলেই দেশের বাড়ির গন্ধটা পেতাম । পাঁচ-ছ রকমের আম ,জাম , জামরুল ,নোনা , বেল , কাঁঠাল , পেয়ারাগাছ , আর কলাগাছের ঝাড় । গোয়ালে তিন চারটে দুধেল গাই , আর বিশাল দু দুটো রান্নাঘর । একটায় নিরামিষ , একটায় আমিষ রান্না হয়। দোতলার উত্তর দিকের বারান্দায় , অনেকটা জাফরি কাটা আড়াল , যেখানে পিসতুতো দাদা -দিদিদের সঙ্গে অনেক রাত পর্যন্ত আড্ডা মারতে পারি আমরা । বাড়ির সামনে শিশু গাছের ছায়ায় ঢাকা যশোর রোড। সোজা পুবের দিকে এগিয়ে গিয়ে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া গিয়ে থেমেছে । সকালে উঠে , চেনা ভ্যান রিক্সায় বসে ব্রাশ করতে করতে সীমান্ত পর্যন্ত ঘুরে আসা যায় । আর , রাত দেড়টা দুটো পর্যন্ত জাগলে , সামনের রাস্তা দিয়ে চোরাচালানকারীদের যাতায়াতটাও চোখে পড়ে । এ বাড়ির ছেলে বনগাঁর বিখ্যাত ফুটবল খেলোয়াড় অজুদা , আমার বাবা , মানে তার ন’মামার ফূটবল খেলার গুণটা পেয়েছে। অজুদার ওপরের দাদা মাকুদা সেই বিহারের ধানবাদের রেলের কর্মচারী।ন’মাসে ছ’মাসে একবার আসে ।তার ওপরের ভাই খোকনদা প্রতিদিন ভোরবেলায় মাসকাবারি রিক্সায় চড়ে , বনগাঁ স্টেশন হয়ে কলকাতার সরকারি অফিসে চাকরি করতে যায় । বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়ন করে ।রবিবার সকালে বনগাঁ মিউনিসিপ্যালিটির ময়লা-ফেলা কর্মচারীদের নিয়ে আন্দোলনের রূপরেখা তৈরী করে ।আমরা গেলে , রাত আটটার মধ্যে বাড়ি ফিরে তুমুল আড্ডা হয় ভাইবোনেরা মিলে । বড়ো দু বোনের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরে , অবিবাহিত চার বোন কলকাতার লেডি ব্রেবোন , প্রেসিডেন্সি থেকে পাশ করেও ঁসতীশ চন্দ্র দত্তের আইনের বইগুলো ঝাড়পোঁছ করে , আর বিধবা ও নিয়মনিষ্ঠ মায়ের কড়া শাসনে থাকে । ছানাপিসি , মানে আমাদের বড়ো পিসিমা নাকি উপযুক্ত কুলীন কায়স্থ পাত্র পাচ্ছেন না — এই অজুহাতে আমার পিসতুতো দিদিদের বিয়ে হয় না । কিন্তু তাদের মুখের হাসি কখনও চলে যায়নি । বাড়ি ফিরেই অজুদা আর খোকনদা আমাকে নিয়ে লোফালুফি খেলে । আর আদর করে ডাকে — ‘ ঝনাপাখির ঢেউ ‘ বলে । সন্ধের পরে প্রিয় ন’মামিমার হারমোনিয়ামের ওপর সবাই মিলে ঝুঁকে পড়লে , আমার মায়ের গলায় একে একে উঠে আসে পুরোনো দিনের গান । এই বাড়ির দেওয়ালে সদ্য বিবাহিত মায়ের রোগা রোগা বেশ কয়েকটা ছবি আছে । সারাদিন কতো রকমের খাওয়া দাওয়া ! তার মাঝখানে কিন্তু ,আমার ছোট্টোবেলার ভুলভাল উচ্চারণগুলোকে নিয়ে আমার পিছনে লাগাটা ,আমি ছানার কালিয়া আর মোচার চপের মতোই উপভোগ করি । আচ্ছা দিদি তুই বলতো , আমি কি সত্যি সত্যিই ছোটোবেলায় এইরকম বোকা বোকা উচ্চারণ করতাম ? কলাপাতি ফুলকে বলতাম কালাপাতি ফুল ? তরকারিকে বলতাম তারকারি ? কঙ্কালকে বলতাম কাঙ্কাল ? আর গোলমালকে নাকি বলতাম বোলমাল ? হতেই পারে না । আনইমপসিবল । আচ্ছা , খুকুদি , ছোট্টুদি ,নীলুদি ,মঞ্জুদি ,তোমরা যে ছাতে উঠে , পুবদিকের আকাশটা দেখিয়ে বলো — এখান থেকে মাত্র তিরিশ মাইল গেলেই আমাদের যশোরের বাড়ি । তার মানে , ওই যে পুবদিকের দূরের আকাশটা …..ওর নীচেই আমাদের যশোরের বাড়ি ,
দড়াটানা নদী , বাবা কাকা জ্যাঠাদের টাউন স্কুল , সম্মিলনী স্কুল ? আর সেই বিখ্যাত টাউন ক্লাবের মাঠ — যে মাঠে ১৯৪৩ সালে , দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যশোর ক্যান্টনমেন্টে সৈন্য হয়ে লড়াই করতে আসা , ইংলিশ লীগের নামকরা ফুটবলারদের সঙ্গে লড়ে গিয়েছিল আমাদের বাবা আর সেজ জ্যাঠামণি ? মানে খোকন বোস আর মনা বোস ? যশোর কম্বাইন্ড টিমের লেফট আউট আর সেন্টার হাফ , শুধু নী-কাপ , অ্যাঙ্কলেট পরে ফাটাফাটি লড়াই করে শেষ পর্যন্ত ৩ – ২ গোলে হেরে গিয়েছিলো ? যশোরের ডি এম অফিস , কালেকটরেট …. সব সরকারি দপ্তরের মাথাতে সেই বিকেলে পতপত করে উড়ছিল ইউনিয়ন জ্যাক । সেটা যেমন সত্যি ,তার চেয়েও বড়ো সত্যি — গোটা জেলা থেকে , ” খাতি নাতি বেলা গেল , হুতি পারলাম না ” , এই নিখাদ যশুরে ভাষা বলা সাধারণ মানুষগুলো , যেন হাজার হাজার মহাত্মা গান্ধি , সুভাষ বসু , সূর্যসেন , ক্ষুদিরাম হয়ে চিৎকার করে বলেছিল — কুইট ইন্ডিয়া , ইংরেজ তুমি ভারত ছাড়ো । তার মাত্র চার বছর বাদেই স্বাধীনতা এসেছিলো। সাদা চামড়ার সেইসব বিখ্যাত খেলোয়াড়রা , খেলার শেষে বুটের আঘাতে খোঁড়াতে খোঁড়াতে থাকা , আমাদের ক্লান্ত বাবা জ্যাঠাদের কাঁধে তুলে নিয়েছিলো । লালমুখো রেফারি নাকি খেলার শেষে চিৎকার করে ১৯১১ সালে আই এফ এ শিল্ড বিজয়ী মোহনবাগানের জয়ধ্বনি দিয়েছিলো। খেলায় একটা গোল করা খোকন বোসের মুখে চোস্ত ইংরেজি শুনে জিজ্ঞাসা করেছিলো — ভবিষ্যতে তোমার স্বপ্ন কি ? বাবা বীরের মতো জবাব দিয়েছিলো — সরকারি চাকরি নিয়ে কলকাতা গিয়ে , মোহনবাগানের হয়ে খেলা , আর ভারতবর্ষের স্বাধীনতার জন্য দিন গোনা । ও খুকুদি,ছোট্টুদি ,নীলুদি,মঞ্জুদি ,ও ছানা পিসিমা , ও শিশু গাছের ছায়ায় ছায়ায় ঢাকা এখান থেকে সোজা যশোর পর্যন্ত যে যশোর রোড ……তোমরা আমাকে বলো —- কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে , মাত্র তিরিশ মাইল দূরে , ও–ই নীল আকাশের নীচেই কী এই আশ্চর্য ঘটনাগুলো ঘটৈছিলো ? পুরোটাই স্বপ্ন ? নাকি , পুরোটাই সত্যি ? ও বিকেলের নীলাকাশ , তুমি আমাকে সেই দিনের গল্প শোনাও…