• Uncategorized
  • 0

T3 || অবিস্মরণীয় নজরুল || বিশেষ সংখ্যায় জি কে নাথ

কাজী নজরুল ইসলাম

( মায়াবী জলস্মৃতির নিজস্ব গতিতে ক্ষণরোদের মতো অগ্নিযুগ )
শান্ত শোলা ভাসা সবুজ ডোবার জলে
গলা ছিন্ন একটা শরীর উপুড় হয়ে পড়ে আছে গত শতাব্দী থেকে
ছায়ার পাখিরা এখন মাটির আলোয় মুখ ধুয়ে এসে বসেছে অবশিষ্ট জুড়ে
একহাঁটু জলে ডুবে বসে আছি,
ভেঙে গেছি ভেতরে ভেতরে
নিয়ন্তার মেঠো পাখায় সাংকেতিক দিকচক্র এর নকশা ওড়ে
বুকে হলদের মতো একটি ক্ষণস্থায়ী শিকড় ঝুলে
দূর বিকেলের নিচে দেখি
স্নানবীজের দানা ফুঁড়ে চারা বেরিয়ে ঢেকেছে প্রাচীন সমস্ত জলহীন কুয়োর মুখগুলো
শুকনো জলদাগে পোড়া সরবতের মতো সরু মিহি
যাবতীয় কার্যকলাপের নশ্বর কাদায় মাখা
সংগ্রামী জীবনের স্মৃতি ভেঙে
বিপ্লবী বাচ্চাগুলোর মা অকাল প্রসব বেদনায় ছটফট করে
সময় ছেড়ে উঠে যাচ্ছে
বাংলাদেশ এর দিকে শূন্যের ভিতর
মোমসাদা গোধূলির থামের উপর ফ্যাকাশে ঘাস ফড়িং উড়ে যায় দূরের কচুবনের ওপারের সূর্যাস্তের দিকে
ছায়ার নীচে তাকাই কখন যেন ডুবে গেছি
পাঁজর সমেত নিমজ্জিত সুদীর্ঘ সন্ধ্যার চিরঅন্ধকার চরে
এই আমিকে নিয়ে সম্পূর্ণ
যাপনক্রিয়ার বিন্দু আলোর ফুলকির ভিতর হারিয়েছে স্লোভেনিয়ার নিরুদিষ্ট ফিলিপের সেই জাহাজ
বিস্তীর্ণ চলাচল অনুসন্ধান করতেই
খণ্ডিত নিহিত মানবিক পরিভাষ্যের নিকট আটকে গেছে অবিচল সমস্ত প্রতিকূলতা
হুহু করে ঢুকে যায় অসুখের সুখে হারানো পৃথিবীর সংগ্রহশালায় সায়াহ্নের মৌরিফুল বৃষ্টিতে অন্ধ বাউলের অনিশ্চিত হাসির দোতারা
পিছল ছায়াসময় ধরে নেমে যাচ্ছি
ইতিহাসে হাজার মিনিটের দ্বাদশচাকায় অরচিত অন্ধকারে ক্রমশ
ক্রমাগত তামরস জারিত ঘ্রাণে অস্তিত্বের আধপোড়া বৈঠা ভেসে আসে
জলের খাঁচায় পাতাহীন বাহান্ন শরীর ভাঙার আওয়াজ ওঠে
বালিফুলের বাগান থেকে অনন্তে ছুটে গেছে শিকারি অনন্তের আদিম বিষমাখা তির
যুগ সাধনায় নীল কড়ির খেলনায় ভাঙা লিঙ্গদেশ
রেখাহীন পাতলা শিকড়ে বেজে থাকে নক্ষত্রসিদ্ধ দহনপুরুষের হাহাকার
শব্দ ছাড়ানো ল্যান্ডমাইনের আলোপোকা উড়ে আসে আমার দিকে টাক করে পিতল ঝড়ের আবর্তে হিস হিস
এতটা অর্গলহীন বায়ুবাহিত হয়ে
অনেক দূর দিয়ে গাড়ি ছুটিয়ে চলে গেছে ওরা বোধগাহ্য অদৃষ্টপূর্বে অতীতের অচেনায়
কেঁপে ওঠে স্বপ্ন প্রচেষ্টার বিস্মিত অধ্যায়ে অস্ত্রের মশাল নি:কম্প অস্তিত্বে তীব্রভাবে
আন্দোলিত রেখাচিত্রের রন্ধ্রে হেমন্তের কাক এসে বসে
কয়লা ওড়া বিদঘুটে লাল উনুনের অন্তরালে বয়ে যাওয়া দুরূহ সংকেত স্রোতের সফর আশ্চর্য রক্তপ্লুত স্বপ্নউড়ান
জারি থাকে উদ্ধত শাসন অন্ধের স্পর্শের মতো নিবিড়
জনরণ্যের খোলা ছাদআকাশের প্রতিবিম্ব নীচে চারটি পায়ায়
একান্ত পংক্তির মতো শূন্যস্থানে
সূত্র আলাদার দুরত্ব বাড়তে থাকে সহৃদয় সামাজিক সমুদ্রে লাট খেতে খেতে
আমি তখন ওজনহীন ছিন্ন পৃথিবীর সূক্ষতায় ভাষা বুনতে বুনতে ব্যর্থ অস্ত্র হয়ে ওঠা দুরন্ত দিনের দিকে নজর এড়িয়ে প্রবল ঝাঁপ মারি
অকপটে বদলে যায় ব্যক্তিগত পরিসর,
ওখানে তখন বাসা গড়ে আশ্লেষঘন অমোঘ উচ্চারণ এর শব
টুকরো ভেসে আসে
সুতীব্র সংরক্ত ভাঙ্গনদীর্ন
একবিংশ শতকের জয়গান
বুক থেকে তুলে নিয়ে গেছে কারা যেন গৃহমায়ের প্রত্যেক নিপুণ দুঃখের কারুকাজ
দৃঢ় সহজের ভিতর পেরিয়ে গেছি পুরাতন গ্রামের পর গ্রাম
আবার দেখা হবে আজ এই মুহূর্তে অফুরন্ত হৃদহ্রদের চারপাশে অনিবার্য
শূন্য দু হাতে ছায়া গোলা অসমাপ্ত ক্যানভাসে
গুপ্ত টিয়ার গ্যাসের শিলালিপি থেকে
বৃক্ষজন্ম পরিযায়ী গত ইশারায় দাঁড় করাই বিপরীত- যুগ্মক অবস্থানে নিজেকে
নিয়তির রোদ ক্রমে নিঃসঙ্গ হয়ে আসে ছায়া জড়িয়ে ,
চক্কর কাটা নিমগ্ন রোদের গায়ে পড়ে আন্তর্জালিক মুক্তি
ভেসে যায় শ্রাবণ কালিতে পথের রঙের ভিতর তালবাদ্য
দূরের পৃথিবীর ঢেকে আসে
বিজ্ঞাপনে সুসজ্জিত সকাল নামে পাঁজর ঘিরে
কারা যেন আজ জিতেছে ? কারা ?
মিথের পুরানো সোনালীডানায় চুঁয়ে পড়ে সিঁড়িভাঙা সামান্য জলধানের শীষ
একনিমেষে হারিয়ে যায় সঙ্গীহীন আঁধারে জল রঙের ছেলেমেয়েদের মুখগুলো
শূন্য বুকের ভেতর বিষণ্ন ডাকের দলহারা চড়ুই ডেকে ওঠে
হারিয়ে গেছে ছেলেবেলা,
চমকে উঠি বুকের অনন্ত দালানে প্রকট হয়ে ওঠে প্রজন্ম ছাড়িয়ে মানুষের ভাবনার বিন্যাসে সমাপ্তির ওম
বিমূর্ত বাতাসের ছবি জুড়ে জুড়ে আয়ুর জানলা খুলে ফেলি
দেশ কালের সীমা ছাড়িয়ে অস্থিরচিত্ততায় শব্দের ঢেউ আছড়ে ছড়িয়ে পড়েছে
ঘুমের মেঠো হাত উল্টে জোনাকি হয়ে উড়ে গেল গত কয়েক শতাব্দীর পথ
সূর্যডোবা ধূসর রাতের মায়াগন্ধী সুরের প্রবাহ ভাবনার আগুন ফসলে স্পষ্ট হয়ে আছে নদীর ভাষায় ইতস্তত ছড়ানো আগামী
এখন আঁচল ভর্তি পর্যাপ্ত
সরল ভাষার প্রদীপের বুকে
পোড়া সলতের মতো মুখোশ খসা ঝুরঝুরে অস্তিত্বের
হালকা ছাপ আঁকা হয়
অতল থেকে উঠে আসা সরল অনাড়ম্বর অবচেতন এর শুকনো দাওয়ায়
সমকালীন পায়ের পাতায় অনন্ত জাগ
বুঝি অগ্নিযুগ এসে পড়েছে ।।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।