শোনেনি বাঙালি, সাম্যের সে বাণী;
মানুষে, মানুষে ভেদা-ভেদ দূ রী
লিখেছি কবিতা, গেয়েছি যে গান
অগনতি; বলেছি প্রীত- অন্তরে
লহ কাছে মানুষে, হও মহান।
আমি গেয়েছি মানবতার গান,
না আমি কাফের, না মুসলমান;
আমি ধূমকেতুর মত আকাশে
উঠি, গাহি শিকল- ভাঙ্গার গান,
ঘোষনা করি, ‘জয় নব উত্থান’।
সবই বিফল, জাগেনি বাঙালি
শয়তান করেছে ওদের ভর,
বিস্মিত আল্লাহ, রুদিত ঈশ্বর
আপন সৃষ্টিতে হানে মুদগর,
রুদ্র যথা করে উদ্দাম তাণ্ডব।
নিরাশ করেছে মোরে বাগদেবী
অভিসম্পাতি, হয়েছি বাক্যহারা;
নির্বাক হয়ে তাই থেকেছি সদা,
কুচি কুচি করেছি বিনা -বিচারে,
নিষ্ফল আক্রোশে নিজের কবিতা।
আমি ‘রন- ক্লান্ত’ বিদ্রোহী, আছি
কবরস্থ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
অঙ্গনে, পাশে কেন্দ্রীয় মসজিদে
শুনি আজান- ধ্বনি প্রতি প্রহরে,
শেষ ইচ্ছা পূরে আল্লার প্রসাদে।