• Uncategorized
  • 0

সম্পাদকীয়

যখন ঘুরে ঘুরেই বই পড়বো: সারাবিশ্বের কয়েকটি ভ্রাম্যমান লাইব্রেরি

যখন লকডাউনের এই বিচ্ছিরি সময়টা আসেনি, যখন কলেজ স্ট্রিটে ঘুরে ঘুরে মা-বাবার সাথে ছোট ছোট ছেলেমেয়েগুলোকে দেখতাম বই কেনা নিয়ে বায়না করছে, তখন সত্যিই নিজের ছোটবেলাটা মনে পড়ে যেত। আর এই বন্দিজীবনে, যখন লাইব্রেরিতে গিয়ে বই পড়বার উপায় নেই, তখন বিশ্বের কয়েকটি ভ্রাম্যমান লাইব্রেরি নিয়েই এই সপ্তাহের সম্পাদকীয় নিয়ে এলাম:
সারা পৃথিবী থেকে খুঁজে আনা বেশ কয়েকটি আশ্চর্য গ্রন্থাগারের তালিকা
১) অজ্ঞতা ছড়ানোতে বাধা দেওয়ার জন্য ও জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়ার অভিপ্রায় নিয়ে আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেসের এক অভিনব শিল্পী রাউল লেমসফ তৈরি করেছিলেন একটি ভ্রাম্যমান লাইব্রেরি।
২) তিনি ১৯৭৯ সালের একটি ফোর্ড ফ্যালকনকে একটি উদ্ভট ট্যাঙ্কের মতো গাড়িতে রূপান্তরিত করেছিলেন – গাড়ির ভিতরে এবং বাইরে প্রায় 900 টি বই সংরক্ষণ করা যাবে।
৩) তিনি বুয়েনস আইরেসের রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে যান এবং তরুণদের পাশাপাশি বৃদ্ধদেরও বিনামূল্যে বই দেন, যতক্ষণ না তারা এটি পড়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
আমাদের কলকাতাতেও ভ্রাম্যমান ট্রাম লাইব্রেরি তৈরী হয়েছে, যাতে শিশুদের উপযোগী অনেকরকম বই রয়েছে। ট্রাম চড়ে ঘোরা হবে, আবার বই পড়াও হবে। আরো একটি জনপ্রিয় মোবাইল ট্রামের নাম ডংকি মোবাইল লাইব্রেরি। প্রকল্পটি একটি সাধারণ আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে জন্মগ্রহণ করেছিল, ব্যাপারটা হলো এরকম, যে ইথিওপিয়ার একটি গ্রামীণ অঞ্চলে বইয়ের বিপরীতে প্রচুর গাধা রয়েছে এবং সেখান থেকেই ডংকি মোবাইল লাইব্রেরি নামটি সৃষ্টি হয়। বর্তমানে, তাদের মধ্যে ছয়টি লাইব্রেরি স্কুল থেকে স্কুলে, এবং গ্রাম থেকে গ্রামে একটি সার্কিটে ছুটে চলছে, আগ্রহী বাচ্চাদের কাছে বই নিয়ে আসছেন এই লাইব্রেরির নির্মাতারা। এছাড়াও আরো একটি জনপ্রিয় লাইব্রেরি হলো ইতালির বিব্লিওমোটক্যারো, যেটি আন্তোনিও লা ক্যাভা নামক একজন শিক্ষক চালু করেছিলেন। তিনি দক্ষিণ বাসিলিকাতা অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে আটটি ভিন্ন স্টপে শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের কাছে বই নিয়ে আসছেন বহুকাল ধরে, এবং এই গ্রন্থাগারে বই পড়া ছাড়াও শিশুরা অর্গ্যান বাজানো শুনতে পারে। লিসবন, পর্তুগাল, জার্মানি এবং স্পেইনেও এই ব্যবস্থা চালু আছে।
তাই, তোমরা যারা লাইব্রেরি খোলা নেই বলে মন খারাপ করছো, তারা একবার চটজলদি এইরকম মোবাইল লাইব্রেরির ব্যাপারগুলো খোঁজ নিয়ে দেখতে পারো, আর পড়ার সাথে সাথেই তোমাদের লেখা, আঁকা সব আমাদের মেইল করে দাও:
sreesup@gmail.com / techtouchtalk@gmail.com

শ্রীতন্বী চক্রবর্তী

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।