পিতা দেবেন্দ্রনাথ মাতা সারদা দেবীর কোল আলো করে, জন্ম তোমার জোড়াসাঁকো ঠাকুর পরিবারে। পঁচিশে বৈশাখ শুভক্ষণে জন্ম তুমি নিলে, আমাদের কতো গল্প কবিতা উপহার দিলে। গ্রীষ্মের দাবদাহে অতিষ্ঠ দহন কালে তোমার আবির্ভাব, সাম্য মৈত্রীর উজ্জ্বল প্রতিমূর্তি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ। লিখেছ কতো কাব্যগ্রন্থ লিখেছ কবিতা গান, তাইতো মোরা গর্বিত আজ গর্বিত সকল প্রাণ। কখনো তুমি একলা পথিক, কখনও তারার দেশে, কখনো তুমি কুমোর পাড়ায়, কখনও ছদ্মবেশে। ছোট বেলায় সহজপাঠ কিংবা কিশলয়, যেদিকে তাকাই সব ই দেখি শুধু ই রবিময়। ভিখারিনী, কাবুলিওয়ালা, তিনকন্যা লিখে হয়েছো স্মরণীয়, হৈমন্তী,গোরা, চোখের বালিতে হয়েছো বরণীয়। সঙ্গীত, কবিতা, গল্প, উপন্যাস ও শ্রুতি নাটক, সবেতেই তোমার কলমের লেখনী হয়েছে সার্থক। সাহিত্যের ঐ আকাশজুড়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র তুমি, এমন একটি নক্ষত্র পেয়ে ধন্য জন্মভূমি। দুঃখ সুখে প্রেমে বিরহে আছো সবাই জানে, তাইতো তোমায় সকলেই আজ কবিগুরু বলে মানে।
বোলপুরে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা সে তো তোমারই দয়ার দান, ১৯৩১ সালে গীতাঞ্জলি লিখে পেলে নোবেল সম্মান। তোমার সৃষ্টি, শিক্ষাদানে শান্তিনিকেতন, সারা পৃথিবীর ছাত্র ছাত্রীরা করছে পঠনপাঠন। বিশ্ব সাহিত্যের অঙ্গনে করেছিলে প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত, সাহিত্য অঙ্গনে সৃষ্টি তোমায় করেছে অলংকৃত। হে বিশ্বকবি যুগে যুগে তুমি ধ্রুবতারা, তোমার আলোয় আলোকিত হই মোরা। সারা বৈশাখ মাস ধরে তোমার জন্মজয়ন্তী উৎসব, শ্রাবণ মাস এলে মনে মনে শুধু ব্যথা অনুভব। হে রবির কিরণ, তুমি এসেছিলে ভূবন আলো করে, উজাড় করে দিয়ে গেলে, বিশ্ব মাঝে দুহাত ভরে।